ষড়যন্ত্রের শিকার জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহিনুল ইসলাম
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) মহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগটি এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ, যার পেছনে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কারা? সূত্র অনুযায়ী, উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এক গোষ্ঠী গঠন করে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মহিনুল ইসলাম তাদের এসব অনৈতিক কার্যক্রমে কখনো সহযোগিতা করেননি বলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ এনে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান।২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, আব্দুল্লাহ আল মামুন লালমনিরহাট থেকে ঢাকায় পুনরায় পোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যর্থতার পর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে, পরিচালক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক লুবাবা সাদিয়ার সহায়তায় ১৭ ডিসেম্বর একটি পত্রিকায় মহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ করায়।
ভিত্তিহীন অভিযোগের কৌশল সূত্র বলে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হলে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ সবচেয়ে সহজ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু মহিনুল ইসলাম অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছ এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ নেই, তাই তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে নারীর নাম জড়ো করে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, প্রধান কার্যালয়ের সকল কেনাকাটার অনুমোদন ও মঞ্জুরী অর্থ ও পরিকল্পনা শাখার মাধ্যমে করা হয়, যেখানে উপপরিচালক হিসেবে মহিনুল ইসলাম ভুয়া বিল অনুমোদন করেননি। এর ফলস্বরূপ, প্রশাসন শাখার উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
ন্যায়বিচারের দাবি
মহিনুল ইসলাম সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং স্বার্থান্বেষী পক্ষই তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এই অভিযোগ শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং এটি মহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের সততা ও নিষ্ঠার প্রতিশোধ নিতে নির্মিত এক ষড়যন্ত্র। মহিনুল ইসলামের অর্থনৈতিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক এবং দোষীদের চিহ্নিত করা হোক।
তার সহকর্মী ও সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন
এমএসএম / এমএসএম