ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুস্থ জাতি গঠনে দরকার নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ১২-২-২০২৫ দুপুর ১২:৬

নিরাপদ খাদ্য প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। আমাদের দেশে মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হলেও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়নি। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে উৎপাদক, বিপণনকারী থেকে ভোক্তা-সব পর্যায়ের অংশীজনকে সচেতন ও উদ্যোগী হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। আমরা বাঁচার জন্য খাই। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খাই। জীবন ধারণের জন্য খাদ্যের বিকল্প নেই। কিন্তু প্রতিদিন খাদ্যের নামে যা খাচ্ছি, তা কতটুকু নিরাপদ? চারিদিকে শুধু দেখি ভেজালের সমারোহ। নিরাপদ খাদ্যের অভাবে জাতীয় স্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা প্রতিদিন টাকা দিয়ে খাদ্যের নামে বিষ কিনে খাচ্ছি। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য। বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সুস্থ ও সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনে একান্ত অপরিহার্য। সুস্বাস্থ্য ছাড়া আমাদের সকল প্রয়োজনই ব্যর্থ। সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। সুস্থ খাবার সুস্থ জীবন বা নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ জীবন, নিরাপদ জাতি। কিন্তু আমাদের দেশে  বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি  কঠিন করে ফেলেছে কিছু বিবেকহীন অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যকে অনিরাপদ এবং বিষে পরিণত করা হচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে ভেজাল আতঙ্কে। অথচ সুস্থভাবে বেঁচে থাকা আমাদের মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। জাতিসংঘ বহু আগেই খাদ্য অধিকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী অন্যতম দেশ। 
এছাড়া খাদ্য অধিকারবিষয়ক অন্যান্য সনদও বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।তার প্রতিফলন আমরা লক্ষ করি আমাদের সংবিধানে। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে; অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়,শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা বাংলাদেশের মৌলিক দায়িত্ব। এখন শুধু খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করলেই হবে না, সেটিকে নিরাপদও রাখতে হবে। কেননা প্রতি বছর বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্যজনিত রোগে প্রাণ হারায়। বাংলাদেশেও অনিরাপদ খাবারের কারণে বছরে মারা যায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। আবার অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে প্রতিদিন ৫ শতাংশ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনিরাপদ খাবার গ্রহণের ফলে শিশু, গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে তৈরি হয় পুষ্টিহীনতা। গড়ে ওঠে পুষ্টিহীন একটি প্রজন্ম। এছাড়া খাদ্যপণ্যে ভেজালের কারণেই দেশের মানুষের বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেইলিউর,হৃদযন্ত্রের অসুখ,হাঁপানিসহ আরো জটিল রোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। একে নিয়ন্ত্রণে আনতে ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে সর্বাগ্রে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশের বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে বড় অর্জন আনতে গিয়ে বেড়েছে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ। আর মাটির ওপর নির্বিচারে রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। প্রাণবৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যের উৎসস্থান থেকে পরিবহন ও গুদামজাতেও রাসায়নিক মেশানো হয়। শস্য ছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মাছ ও আমিষের উৎস ডিম-মুরগিও বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মাছের খামারেও ব্যবহার হচ্ছে নানা বর্জ্য। পোলট্রি মুরগির বর্জ্য জমিতে ও মাছের খামারে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে খাদ্যের উৎস নিরাপদ থাকছে না। অসাধু ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীদের কারসাজির কারণে খাদ্য দূষিত হচ্ছে। 
বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি জুস, চকলেট, চানাচুর ইত্যাদি উৎপাদনে কোম্পানিগুলো নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে দেদারসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করে যাচ্ছে।বেকারির অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য,জীবন রক্ষাকারী পানির বোতলে দূষিত পানি,মুড়িতে ইউরিয়া, বিষাক্ত এনার্জি ড্রিংক ও জুস,শিশুখাদ্যেও ভয়াবহ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হয়। মেশানো হয় মসলায় ইটের গুঁড়া ও হলুদে লেড ক্রোমেট। মুরগির শরীরে ব্যবহৃত নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোন ও ওষুধে লুকিয়ে আছে মরণঘাতী ব্যাকটেরিয়া সহ মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর মারাত্মক জীবাণু। গরুর মাংসের ক্ষেত্রেও অনুরূপ পদ্ধতি দেখা যায়। দ্রুত বৃদ্ধির জন্য গরুর শরীরে দেয়া হয় বিভিন্ন গ্রোথ হরমোন। গরুর শরীরে পিটুইটারি ইনজেকশন দিয়ে দুধের পরিমাণ কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হচ্ছে। যেটা মানবস্বাস্থ্যের জন্য বড় রকমের ঝুঁকি। নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।ভেজালবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি তারা কাজ করছে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে। আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভেজালবিরোধী অভিযান। তার পরও কমছে না ভেজালের ব্যাপকতা। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সরকার আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করলেও খাদ্য নিরাপদ করতে আমাদের অর্জন সামান্যই। শুধু আইন বা প্রতিষ্ঠান থাকলে হবে না, আইনের প্রয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা দরকার। আমরা আশা করব, ভেজালবিরোধী অভিযান কঠোর হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত হবে। ভেজাল পণ্য ও অসাধু ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে অভিযান নিয়মিত থাকলে ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় তিন লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ। এছাড়া মাতৃস্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলে দেখা যায়,একজন গর্ভবতী ভেজালমুক্ত খাবার পান না। যার ফলে গর্ভের শিশুটিও বেড়ে ওঠার আশানুরূপ পরিবেশ পায় না। এসব কারণে গর্ভপাত এবং বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম এখন অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে চাষযোগ্য কৃষিজমির তুলনায় জনসংখ্যার চাপ অধিক। আর বাড়তি এ জনগণের খাদ্য চাহিদা মেটাতে হাইব্রিড সবজি চাষ, মাংস উৎপাদন অনেকটা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বেও এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বহির্বিশ্বে হাইব্রিড সবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় যথাযথ হরমোন ব্যবহার করা হয়। সেখানে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। কিছুদিন পর পরই কর্তৃপক্ষ ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরূপ আর্থিক জরিমানা করছে। জরিমানা দিয়ে আবার একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে তারা। কাজেই অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে শুধু জরিমানামূলক শাস্তি নয়; সরকারকে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সময় এসেছে। প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। যত্রতত্র যেসব মানহীন খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে সেসব দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে খাবারের অর্ডার একটি নতুন প্রপঞ্চ। সময় সাশ্রয় ও ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এদিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ মান ও বাঞ্ছনীয় পণ্য না পাওয়া নিয়ে ভোক্তার অভিযোগ বিস্তর।এরও একটা বিহিত জরুরি।পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতেও প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো দরকার। 
নিরাপদ খাদ্যের কার্যক্রমটি বর্তমানে একাধিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় সমন্বয়ের অভাব প্রকট। এক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেই (বিএফএসএ) আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মান নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিএসটিআইয়ের গবেষণা ও তদারকি আরো বাড়াতে হবে। এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় শক্তিশালী খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রক ও তদারকি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে মানহীন ও ভেজাল খাদ্য রোধে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ সুবিদিত। দেশে খাদ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের বিপরীতে নজরদারির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এখনো অপ্রতুল। এ বাস্তবতায় উল্লিখিত দেশের সংস্থাগুলোর নীতি ও কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এখানে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আরো বাড়ানো যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। নইলে সর্বস্তরে জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য জোগানো কঠিন হবে বৈকি। আমাদের  মনে রাখতেই হবে,নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখে। আমরা ২০৩০-এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন ও ২০৪০ সালের মধ্যে জনমিতিক সুফল ব্যবহারে চাই নিরাপদ ও পুষ্টি সংবেদনশীল খাদ্য, যার মাধ্যমে একটি সুস্থ জাতি গড়ে উঠবে। জনগণের সদিচ্ছা ছাড়া সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কেননা এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। তার পরও কিছু নিয়ম-কানুন এবং যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল দেয়ার লাগাম এখনই টেনে ধরতে না পারলে অদূরভবিষ্যতে খুবই খারাপ অবস্থা অপেক্ষা করছে, সেটা সহজেই অনুমেয়। জনসাধারণের সচেতন উপলব্ধি ও সমন্বিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনের প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বেগবান করা সম্ভব। খাদ্য জীবন বাঁচায়। আবার অনিরাপদ খাদ্য মানুষের রোগব্যাধি ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এ খাবার গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

Aminur / Aminur

জিনিস যেটা ভালো , দাম তার একটু বেশি

মব জাস্টিসের প্রভাবে বর্তমান বাংলাদেশ

সুস্থ জাতি গঠনে দরকার নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা

রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও একুশে বইমেলা

বিশ্ব জলাভূমি দিবস: টিকে থাকার জন্য জলাভূমি সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি

দেবী সরস্বতী: বিদ্যা, জ্ঞান, ও শুভ্রতার বিশুদ্ধ প্রতীক

স্বাস্থ্যসেবায় বায়োকেমিস্টদের অবদান: এক অপরিহার্য দৃষ্টিভঙ্গি

আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা

কন কনে শীতে অযত্নে -অবহেলায় কাটছে পথশিশুদের জীবন

দাবি আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৫: স্থায়ী শান্তির জন্য শেখা

জেন-জির হাত ধরে আগামীর নেতৃত্ব: সম্ভাবনা ও করণীয়

ব্রিটেনের রাজনীতিতে ছোট ভুলেও কড়া শাস্তি