ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

উত্তরায় আবাসিক হোটেলে চলছে ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমে অনৈতিক কর্মকান্ড,প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি


এইচ এম মাহমুদ হাসান photo এইচ এম মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত: ১৬-২-২০২৫ বিকাল ৫:৪০

রাজধানীর উত্তরার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল গুলোতে দিন দুপুরেই রাস্তার ফুটপাত ও ওভারব্রিজের চারপাশে ভিজিটিং কার্ড ফেলে দিয়ে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড। সব কিছু জানার পরেও নিরব ভূমিকায় পুলিশ। মাঝেমধ্যে অভিযান হলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারো গজিয়ে ওঠে এসব আবাসিক হোটেল। 

সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে উত্তরার আবদুল্লাপুর,হাউজ বিল্ডিং সহ এলাকায় বেশ কিছু আবাসিক হোটেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব আবাসিক হোটেল গুলো বন্ধের বিষয়ে পুলিশকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালালেও কিছুদিন পর পূনরায় চালু হয় এসব আবাসিক হোটেল।

সাধারণ মানুষ বলছেন, পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ না থাকাই এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে।

উত্তরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর গুলোতে গোপনে চলে আসছিল এই ব্যবসা। সরকার পতনের পর পরই প্রকাশ্যেই চলছে দেহ ব্যাবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকালাপ । এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ বলেই চলছে। প্রশাসন বলছে অনেক তথ্যই নেই তাদের কাছে। তবে অনুসন্ধান মিলেছে উত্তরার হাতে গোনা কয়েকটি আবাসিক হোটেল বাদে প্রায় সবগুলি হোটেলেই বেশির ভাগ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।

পথচারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহাসড়কের চারপাশেই বিভিন্ন ধরনের রং বেরঙের ভিজিটিং কার্ড ফেলে রাখে কিছু দালাল,এসব কার্ড দেখে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

কলেজ শিক্ষার্থী আমির হোসেন আসিফ বলেন, প্রায় সময় সকাল বেলা কিছু দালাল রাস্তার পাশে এবং ওভারব্রিজে ভিজিটিং কার্ড ফেলে রাখে, এসব যেন দেখার কেউ নাই।


প্রতিবেদক,কয়েকটি ভিজিটিং কার্ডের নাম্বারে কল দিলে তারা জানান,  এখানে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে,স্কুল কলেজের ১৫ থেকে ২০ জন মেয়ে রয়েছে,আপনি আপনার পছন্দমত মেয়ে নিয়ে সময় কাটাতে পারবেন।শুধু আপনারা আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে আসবেন, আপনাদের কোন ঝামেলা হবে না।রাস্তায় ফেলে দেওয়া ভিজিটিং কার্ড ও আবাসিক হোটেলের বিষয়ে জানতে চাইলে ১২ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, দেলোয়ার হোসেন বলেন, 

আসলে এ বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়, এই বিষয়গুলোর কারণে আমাদের সামাজিক অবক্ষয় , সামাজিক সৌন্দর্য, নৈতিকতা সব নষ্ট করে দিচ্ছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের চরিত্র নষ্ট হচ্ছে, আবাসিক এলাকা গুলোতে সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে তারা এটি করছে এর দায় প্রশাসন কেই নিতে হবে, এই হোটেল গুলোর সরাসরি মনিটরিং করার কথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বও তাদের।

আশাকরি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়ের ব্যবস্থা নিবে। 

শুধু আবাসিক হোটেলই নয় এই দেহ ব্যবসা চলছে গোপনে উত্তরার বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসাতেও। উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কৌশলে চালাচ্ছে এই ব্যবসা। আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় কাটাতে খদ্দেরকে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। এরকম টা বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার, আছে আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরি। হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক,হোটেল সোনালী,হেটেল সিটি,  হোটেল প্রাইম ইন ,,হোটেল বেইজিং, হোটেল প্যালেস,হোটেল গ্রীন গার্ডেন, ওয়ান স্টার, রাজমনি, প্রাইম হোটেল,হোটেল নাইস লোক, রয়েল ব্লো, হেবেন আবাসিক, সিগাল,স্টার প্লাস,হোটেল সিংগাপুর।

কয়েকটি হোটেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হোটেলে ১০/১২ জন মেয়ে দিয়ে তারা এই অনৈতিক কর্মকান্ড গুলো চালাচ্ছে আর এসব হোটেলে রাত কাটাতে হলেতো কথাই নেই,, গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া,বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।

উত্তরার বেশির ভাগ আবাসিক হোটেল গুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। এক বাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতিতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুংকার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায় , দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ।

উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলোতে তরুণ ও উঠতি বয়সের ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা লক্ষ করা যায়। এই সব হোটেল গুলোতে কলগার্ল ও দেহ ব্যবসায়ী নারীদের অবস্থান থাকে। আর এই ব্যাবসার বিশেষ কৌশলে গড়ে ওঠে ইয়াবা ও মাদকের ব্যাবসা।

দিন দিন যুবসমাজ এই ফাঁদে পা দিয়ে অন্ধকার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এই সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রশাসন অভিযান চালালেও রাত পোহালে আবার সেই আগের চিত্রই দেখা মেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের সামনেই এইসব চললেও প্রশাসন কিছু করছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালায়, উচ্ছেদ করার জন্য মূলত অভিযান চালায় না। সাধারণ সচেতন মানুষ এই ধরনের অপকর্ম থেকে উত্তরা বাসীকে মুক্ত করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে ডিএমপি উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহাম্মেদ আলী বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, আপনার কোন নির্দিষ্ট হোটেল থাকলে আমাদেরকে জানান, এবং কয়েকদিন আগে আব্দুল্লাহপুরে আমি নিজেই অপারেশন পরিচালনা করেছি। 

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আমি আসার পর থেকে উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে অভিযান চালিয়ে অনেক মাদক উদ্ধার করেছি, তাদেরকে আইনের আওতায় এনেছি আর এই অভিযান চলমান থাকবে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি  এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব তিনি সাংবাদিকদের কে আহবান করেন আমাদের কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।

শীগ্রই দ্বিতীয় পর্ব আসছে....

এমএসএম / এমএসএম

এইচএম সেলিম রান টেন কে ম্যারাথন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

প্রাপ্ত বয়সে ছেলে-মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করে ছেলে কারাগারে

উত্তরা সেক্টর-১২ সোসাইটির শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন

মিরপুর পাবলিক স্কুলে ক্রীড়া ও মেধা মূল্যায়ন পুরস্কার বিতরণ

দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এসি ল্যান্ডের অভিযানে কাজ বন্ধ ঘোষণা

রাইদা বাস চলাচল বন্ধ ও মালিকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই জন নিহত

এপ্রোন এরিয়াতে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল এয়ারপোর্ট এপিবিএন সদস্যদের বিরুদ্ধে

বেবিচক চেয়ারম্যান এর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আওয়ামী লীগ হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করলেও ভোল পাল্টে বিএনপির হয়ে কাজ করছে আইয়ুব আলী

উত্তরায় পথচারী দম্পতির উপর হামলার ঘটনায় পুরো চক্রকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা

যুব উন্নয়নে রাজ্জাক-আনিসুলের শক্তিশালী সিন্ডিকেট

'অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান, জরিমানা আদায়'