ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

স্বাস্হ্য বিধি বর্হিভূতভাবে নিজ জেলাতে বহাল তবিয়তে কর্মরত ডাক্তার দম্পতি


আবিদ হাসান photo আবিদ হাসান
প্রকাশিত: ৮-৩-২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে দ্রুত সময়ে পদোন্নয়ন।  বর্তমান  সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন  নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ। 

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যখন সকল সেক্টরে সংস্কারের কাজ চলমান ঠিক তেমনি একটি সময় স্বাস্হ্য বিভাগের নীতিমালা  ২০১৬ এর সিভিল সার্জন পদায়নের ক্ষেত্রে নিজ জেলা পরিহারের বিধান স্পষ্টত উল্লেখ থাকলেও তা বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে বলে জানা যায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সিভিল সার্জন চুয়াডাঙ্গা  জেলারই একজন বাসিন্দা। ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ  আলমডাঙ্গা থানাধীন উদয়পুর গ্রামের মৃতঃ আহমেদ আলীর সন্তান। বর্তমান স্টেশন পাড়া আলমডাঙ্গার  নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ডাঃ শারমিন  আক্তার আলমডাঙ্গা থানাধীন  যাদবপুর গ্রামের মৃতঃ আবু সাঈদের কন্যা। বর্তমান আলমডাঙ্গা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্হ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। 

দীর্ঘদিন একই জেলায় বসবাস করার স্বার্থে নিজ এলাকাতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এইক্ষেত্রে পরিচিত এক নাম ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ। 
নিজ জেলাতে তিনার ডক্টরস কেয়ার  নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে। গত২০২২ সালে আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় দালাল মাধ্যমে নিজ ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া ও বিভিন্ন অনিয়ম  বিষয়ে তিনার বিরুদ্ধে যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়া দ্যা নিউজ টোয়িন্টিফোর ডটকমে ২০২৪ সালে ৯ ই মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্য সেবা পার-২ শাখার যুগ্ম সচিব মন্জুরুল হাফিজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ওএসডি করা হয়। সেই প্রতিবেদনেও অবৈধ হাসপাতাল পরিচালনার অভিযোগ উঠে। ডক্টরস কেয়ার এন্ড স্পেসালাইস্ট হসপিটালটি ডাক্তার দম্পতি পরিচালনা করেন।  ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ  আলমডাঙ্গা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্হ্য ও পঃ পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে গত ৯/৯/২৪ তারিখে প্রথম প্রমোশন পেয়ে ম্যাটসে অধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি পান। 

তার এক মাস পর ৯/১০/২৪ তারিখে সিভিল সার্জন হিসেবে ঝিনাইদহতে পদোন্নয়ন পান। শেষ ২৫/১২/২৪ তারিখে ট্রান্সফার হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলেও চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সাবেক এমপির সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন এর ঘনিষ্ঠজন হিসাবে প্রশাসনিক পদ অলংকৃত করেন বলে জানা যায়। 

ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে নিজেকে বর্তমান সম্ভাব্য দলের একনিষ্ট সমর্থক হিসাবে প্রচার করেন। ডাঃ  হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত চতুরতার সহিত ক্ষমতাসীন  দলের  সহিত সখ্যতা রাখেন বলে যায়। তার অন্যতম বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিগত সরকারের শাসনামলেও  স্থানীয় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুনের সহিত তার পরিবারসহ ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং নিয়মিত যাতায়াতের বিষয়ে  জনমনে প্রশ্ন। অনেকের ধারণা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তার কর্মস্থল আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসাবে দাপট ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ঠিক পরিবারতন্ত্র হিসাবে নিজে সিভিল সার্জন এবং তিনার স্ত্রী ডাঃ শারমিন আক্তার আলমডাঙ্গা হারদীতে স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসাবে  কর্মরত আছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (অবঃ) অনেকের মতে স্বাস্থ্যবীধি বিষয়ে আমরা অবগত নাই তবে প্রশাসনিক পদে থাকায়  বিভিন্নক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার দৃশ্যমান। 

এদিকে, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া স্বত্তেও নানারকম কায়দা কৌশল করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বহাল তবিয়তে এখনো কর্মরত আছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, অর্থের প্রভাব খাটিয়ে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেন এই চিকিৎসক দম্পতি। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন সিভিল সার্জনের নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। কিন্ত সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শেখ ছাইদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন সিভিল সার্জনের কখনো নিজ এলাকায় নিয়োগ বা বদলীর সুযোগ নেই। তবে কিভাবে, কোন উপায়ে তিনি নিজ এলাকায় সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এটা তার জানা নেই বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। একই প্রশ্নে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের আইন শাখার  কর্মকর্তা পরিমল বাবু বলেন, স্বাস্থ্য বিধী  অনুযায়ী নিজ জেলাতে সিভিল সার্জন হিসেবে থাকার সুযোগ নাই। 
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসে উপস্থিত নেই বলে জানানো হয়। অত্র এলাকার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতি মুনাফালোভী এই ডা. দম্পতির রয়েছে নামে-বেনামে বিপুল পরিমান সম্পদ। পেশায় চিকিৎসক হওয়ার সুবাধে আয়েশা পার্ক নামে গড়ে তুলেছেন আটতলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন যেখানে রয়েছে তাদের নিজেদের মালিকানায় পরিচালিত ডক্টরস কেয়ার নামে একটি হসপিটাল। তবে কাগজে কলমে মালিকানা দেখানো হয়েছে বিভিন্নজনের নামে। সরকারী চাকরিজীবী হওয়ায় বহুতল ভাবনটির কাগজে কলমে মালিকানায় রয়েছেন ডাক্তারের শাশুড়ী মালিহা আক্তার পলি। তার নামেই ভবনটির নাম দেয়া হয়েছে আয়েশা পার্ক।বিধি মোতাবেক নিজ জেলাতে বহাল থাকা এবং নিজ নামে ক্লিনিক পরিচালনা করায় ক্লিনিক অভিযানের ক্ষেত্রেও বৈষম্যতার শিকার হওয়ার বিষয়ে কিছুদিন পূর্বের অভিযানে জনগণে অস্বস্তি রয়েছে বলে অনেকের ধারনা।  উল্লেখ্য যে, গত ৬ ই ফেব্রুয়ারী একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিজ জেলায় কর্মরত চিকিৎসক দম্পতি শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এমএসএম / এমএসএম

কাউনিয়া উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কুয়াকাটা ডাকাতির চেষ্টার সময় দুই যুবক আটক

ডাকাতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামে জাতীয় দূর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

দেশব্যাপী শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মানববন্ধন

কাউনিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন

পাঁচবিবিতে ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

সারাদেশে নারী ও শিশুদের উপর পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন

দেশব্যাপী নারীদের নিপিড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সিংড়ায় ছাত্রদলের মানববন্ধন

শ্রীপুরে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

কেশবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক গাঁজা সেবনকারীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও জরিমানা

ত্রিশালে আধুনিক পদ্ধতিতে ডিভাইস ব্যবহারে মাছ চাষের উদ্বোধন

ধামইরহাটে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে