আগে রিটার্ন এ শো করুন তারপর শো অফ করুন

সরকারি চাকরিজীবীদের বা যাদেরই বছরে আয় ৩.৫ লাখ টাকার বেশি তাদের আয়কর রিটার্ন দিয়ে কর দিতে হয়। অনেক মানুষ আছে যাদের বছরে আয় ৩.৫ লাখ টাকার বেশি কিন্তু দেখা যায় যে তারা রিটার্ন দেওয়া তো দূরের কথা টিন ই খুলে নাই এখন ও। এদেরকে বাধ্যতামূলক ভাবে করের আওতায় নিয়ে এসে কর বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করা উচিত digitally। তাহলেই কর জাল সম্প্রসারিত হবে ও দেশের রাজস্ব আয় বহুগুণে বাড়বে।
- আইন করা উচিত বয়স ১৮ হবার সঙ্গে সঙ্গে সবার Smart NID, TIN must খুলতে হবে ও রিটার্ন জমা দিতে হবে (কর আসুক বা না আসুক) সম্পদ বিবরণী সহ।
- আইন করা উচিত কেউ মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পদ বণ্টন হবে মৃত ব্যক্তির রিটার্ন এ শো করা সম্পদ এর উপর। এক্ষেত্রে unshown সব সম্পদ রাষ্ট ক্রোক করে নিবে। তাহলে কেউ আর সম্পদ রিটার্ন এ unshown রাখতে চাইবে না, আর shown করলেই কর দিতে হবে।এতে রাষ্টের রাজস্ব আয় বাড়বে।
- আইন করা উচিত যে কোনো প্রকার সম্পদ স্থানান্তর এর সময় দুই পক্ষেরই আয়কর রিটার্ন এ তার প্রতিফলন থাকতে হবে এবং প্রমানক দাখিল করতে হবে।
- সর্বোপরি ক্যাশ লেস বাংলাদেশ গড়তে হবে। সমস্ত transactions digital হলে কোনো কিছু আর unshown রাখার সুযোগ নেই এবং transaction গুলা কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে তা মুহুর্তেই ট্র্যাক করা সম্ভব।
-সন্তানদের ও খেয়াল করা উচিত তারা যে লাইফস্টাইলে চলছে তা তার পিতা মাতা বা অভিভাবকের বৈধ আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা। বিয়ের সময় পাত্র পাত্রী ও তার পিতা মাতা বা অভিভাবকের আয়কর রিটার্ন যাচাই করতে পারেন।
-মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে আয়কর বিষয়ক একটি অধ্যায় রাখা যেতে পারে যাতে ছাত্রছাত্রীরা ছোটবেলা থেকেই আয়কর ভ্যাট শুল্ক বিষয়ে কিছুটা ধারণা পেতে পারে, ভবিষ্যতে দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে উদ্ভাবনী ভূমিকা রাখতে পারে।
-ছোট বেলা থেকেই সন্তানদের ধর্মীয় বিধি নিষেধ গুলা সম্মন্ধে সম্যক ধারণা দিতে হবে। সর্বোপরি আমাদের চাহিদা সীমিত করতে হবে। অল্পতেই তুষ্ট থাকার অভ্যাস গড়তে হবে।
কোনো একসময় মানুষ খেয়াল করতো, তিনি কত বিঘা জমির মালিক ? কত মন ধান পান ? গরু মহিষ কয়টা ? খড়ের গাদা বা পালা কত বড় ? বাড়ীর সামনে পুকুর আছে কিনা ? ইত্যাদি ইত্যাদি...
তারপর আসে শহরে কয় শতাংশ জমির মালিক ? বাসা কয়টা ? ঘর ভাড়া পায় কত ? গাড়ি আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি...
দিন যাচ্ছে, মানুষের রুচি জ্ঞান, চিন্তা চেতনার প্রসার হচ্ছে, মানুষ আধুনিক ও সচেতন হচ্ছে, ভালো মন্দ বুঝতে পারছে।
পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এসব ছোটখাট জিনিস নিয়ে শো-অফের কোন অর্থ নেই। কার কি আছে, কি নেই - এ নিয়ে শুধু বোকারাই সময় নষ্ট করে।
কম চাওয়া, কম পাওয়া,
কম আফসোস, জীবন সুন্দর।
আপনার সম্পদ যত কম হিসাব তত সহজ তা সে একালেই হোক বা পরকালে।
Empires are not built in a day. সফলতা কখনও হুট করে রাতারাতি হয়না। আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়না, হলে সেটা বৈধ হবার সম্ভাবনা কম। সফলতার কোনো শর্ট কাট পথ নাই, শর্ট কাট উপায়ে বড়লোক/রাতারাতি বড়লোক হলে সেটা বৈধ উপায়ে না হবার সম্ভাবনাই বেশি।
পরিশ্রম (কায়িক বা মেধাভিত্তিক) করে সফলতা অর্জন করেছেন, রাতারাতি কিছু হননি এমন সবার প্রতি শ্রদ্ধা। রাতারাতি অবৈধ উপায়ে বড় কিছু হয়েছেন তাদের সবার ক্ষেত্রে চার্জ করুন রিটার্ন এ শো করা আছে কিনা। ছাগল কান্ডের পর বর্তমান বাংলাদেশে কেউ অসামঞ্জস্য শো অফ করলেই তাকেই চার্জ করুন রিটার্ন এ শো করা আছে কিনা।
লেখক:
মোঃ সারোয়ার জাহান সুজন
নির্বাহী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এমএসএম / এমএসএম

মার্কেটিং বিক্রি বাড়ায়, যোগাযোগ ব্র্যান্ড তৈরি করে

নির্বাচনী ব্যবস্থায় গণমাধ্যম নীতিমালার প্রস্তাবিত সংস্কার ও গণমানুষের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ সংবিধানের আলোচিত ৭০ অনুচ্ছেদ প্রেক্ষিতঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত

শতাব্দির সেরা মাটির সৈনিক কৃষক যোদ্ধা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট ও জনগণের প্রত্যাশা

ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল

এফবিসিসিআইর ডিজিটাল রূপান্তর : ব্যবসায়িক নেতাদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেবা

জাতীয় ঐকমত্য কঠিন হলেও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অনন্য উচ্চতায় তারেক জিয়া

কেমিক্যাল আতঙ্ক নয়, চাই বিজ্ঞানসম্মত আমচাষ ও প্রশাসনিক সচেতনতা

শুভ অক্ষয় তৃতীয়া: দানে ধ্যানে অনন্তকালের পূণ্যলাভ

শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার ও গুরুত্ব, বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
