ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন পোস্ট অফিসের লোকজন
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপজেলা পোস্ট অফিস ভবনটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রতিদিনের কার্যক্রম। সব সময়ই ভয়ে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা নিতে আগত গ্রাহকরা।
জানা গেছে, পোস্ট অফিস ভবনের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, খসে পড়ছে পলেস্তারা, বর্ষা এলে ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। নষ্ট হচ্ছে ইলেক্ট্রনিকসামগ্রী, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। বেরিয়ে আসছে ছাদের রড। পোস্ট অফিস ভবনটি অনেক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে ভবন ধসের ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কর্মরতদের প্রাণহানির শঙ্কা আছে জেনেও অফিস চালাতে হচ্ছে। এ নিয়ে নানা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন সেবাদানকারী ও গ্রাহকরা।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে উপজেলায় একতলা বিশিষ্ট পোস্ট অফিস ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবন নির্মাণের পর অদ্যাবধি কোনো সংস্কার করা হয়নি।
সরজমিন দেখা যায়, ভবনটির দেয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে, ছাদের নিচে পলেস্তারা অফিস চলাকালীন সময় খসে পড়ে। ভবনের অনেক জায়গায় মরিচা ধরা রড বের হয়ে আসছে। বর্ষা হলে ছাদ চুইয়ে পড়া পানিতে উপজেলা পোস্ট অফিসে থাকা ইলেক্ট্রনিক, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা পোস্টমাস্টার শংকর চন্দ্র জানান, প্রতিনিয়ত ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বৃষ্টি হলেই পড়ে পানি। এরমধ্যে অফিস করি প্রাণ হারানোর শঙ্কা নিয়ে।
পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা রীনা আক্তার জানান, পলেস্তারা ও পানি পড়ে অফিসে থাকা ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ফটোমেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
পটুয়াখালী পশ্চিম উপ-বিভাগ দায়িত্বেরত পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। তবে কয়েকটি ডাকঘর ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় দেখেছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা ডাকঘরটিও এর মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. মোহসিন জানান, বরিশাল বিভাগে শতাধিক জরাজীর্ণ ডাকঘর ভবন রয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা ডাকঘরটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এমএসএম / জামান