দুদক কর্মকর্তা মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণ দুর্নীতিবাজ বলে ধারণা করেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।নতুন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে সরকারী দপ্তর গুলোতে সরকারী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দূনীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক বনে যাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালনকারী সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিশেষ করে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে যারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড,দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে নিয়োজিত ছিলেন যারা।রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতি একই পদে একই জায়গায় দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেছেন ঐ সকল কর্মকর্তাদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ।
সাম্প্রতিক সময়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সর্ষের মধ্যে এক ভূত’কে নিয়ে?জ্ঞ্যাত আয় বহির্ভূত অবৈধ উপায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের কর্মরত ডিডি মাহবুব আলম বিরুদ্ধে। মাহবুব আলম টেনে টুনে ম্যাট্রিক পাস করে পিওন থেকে চাকুরি জীবন শুরু করেন। দুদকে পরিচিত ভাগিনা মাহবুব নামে । দুদকের আলোচিত জীনের বাদশা আবু বকরের ভাগিনা তিনি।
দুদকের প্রভাবশালী কর্মকর্তা মাহবুবের ভয়ে তটস্থ থাকে সচিবরাও। ২০২২ সালে এক যুগ্ম সচিবকে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়।
মাহবুব আলমের মূল কাজ তদন্তের নামে অর্থ আদায়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনুসন্ধান এবং পরবর্তীতে রিপোর্ট দেয়ার জন্য তদন্তের উপর বিনিয়োগ করে মাহবুব। কোন বড় দুর্নীতির ফাইল আসলে,সেই ফাইলে নিজস্ব তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে দুদকের বড় কর্তাদের ঘু/ষ দেয় মাহবুব।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন দূনীতি দমন কমিশন দুদক পুরোটাই মাহবুব আলমের নিয়ন্ত্রন করেন।মাহবুব আলমের ইশারা ছাড়া একটি ফাইল অন্য টেবিলে যায়না।মাহবুবের চলে দুদক।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, কম করে হলেও ৫ শো কোটি টাকার সম্পদের মালিক মাহবুব। শুধুমাত্র, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট,জোয়ার সাহারা সহ ঢাকার কয়েকটি এলাকাতে রয়েছে প্রায় দেড়শো কোটি টাকার সম্পদ।মাহবুব আলমের দুর্নীতির ব্যাপারে দুদকের চেয়ারম্যান পর্যন্ত অবগত।তার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সাংবাদিদের বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই তাকে বদলি করা, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের মতো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাকেই স্বাভাবিকতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্নীতির জন্য কার্যকর জবাবদিহিতা ও প্রতিরোধের সম্ভাবনার মানদণ্ডে যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। দুর্নীতির মতো অপরাধ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে ।প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দুর্নীতি করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা ডিডি মাহবুব আলম কে মোবাইলে ফোনে করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া সম্ভব হয়নি ।
এমএসএম / এমএসএম
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা