ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ঈদে মন ছুটে যায় টেকনাফে


টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি photo টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-৩-২০২৫ দুপুর ৩:৪৪

কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। উঁচু-নিচু ও ছোট-বড় পাহাড়ের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুপাশে সবুজের সমারোহ। রাস্তার পূর্ব পাশে বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নাফ নদী। নদীতে পাল তুলা সারি-সারি নৌকা ভাসছে। নদীর সঙ্গে মিতালি করে চলছে জেলেজীবন। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজারো পর্যটক ঈদের মৌসুমে ছুটে আসেন টেকনাফে। 

কী দেখবেন
এখানের দর্শনীয় স্থানগুলো হলো, বিভিন্ন পাহাড়, ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ, শাহপরীর দ্বীপ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, নাফ নদী, জেটি, কুদুম গুহা, নেচার পার্ক, মেরিন ড্রাইভ আর সমুদ্রের অনন্য এক মিলনস্থল বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ অংশ।
 
সুন্দরের নাম শাহপুরী দ্বীপ
কক্সবাজার থেকে সড়কপথে টেকনাফের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। কক্সবাজার সমুদ্র ও নাফ নদী বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে এখানে পৃথক করেছে। পাহাড়ের ওপর থেকে নাফ নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এক অন্যরকম দৃশ্য। টেকনাফের সমুদ্র সৈকতটি বেশ সুন্দর, মনে রেশ থেকে যায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সৈকত বলা যায় এটিকে। টেকনাফেই অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। 

শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। শাহপরীর দ্বীপ টেকনাফের সর্ব দক্ষিণের ভূ-ভাগের একটি দ্বীপ, যা টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত। এই দ্বীপে রয়েছে তিনটি সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতগুলোতে কোনো লাইফগার্ড ব্যবস্থা সেই, এজন্য জোয়ার ভাটার সংকেতের কোনো চিহ্ন থাকে না। এই দ্বীপে রয়েছে দিগন্তজোড়া লবণ খেত। এই লবণ খেতের পাশে রয়েছে ছোট ছোট নদী, যেখানে শীতের মৌসুমে নানা প্রকারের অতিথি পাখির দেখা মেলে। 

নীল জলে অবগাহন
টেকনাফের সবচেয়ে জনপ্রিয় হল টেকনাফ সমুদ্র সৈকত। নীল জলরাশি, সাদা বালি এবং দীর্ঘতম সৈকতের জন্য টেকনাফ সমুদ্র সৈকত বিখ্যাত। দেশের কক্সবাজারে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ১২০ কিলোমিটার। টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের জল কক্সবাজারের চেয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার এবং নীল।
সমুদ্র সৈকতের পাশে রয়েছে ঝাউবন। এখানে পর্যাটকদের দেখা তুলনামূলকভাবে কম হলেও অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা (সাম্পান) পর্যটক এরা দেখতে পায়। এই সমুদ্র সৈকতে বেশিভাগ জেলেরা মাছ ধরে।

ছেঁড়া দ্বীপ
বাংলাদেশ সর্বশেষ সীমানায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপ টেকনাফ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন বলে এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছিল ছেঁড়া দ্বীপ। এই দ্বীপ জোয়ারের সময় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে ডুবে যায়, আর সাগরের নীল ঢেউ যখন পাথরের গায়ে আছড়ে পড়ে তখন এক মোহনীয় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে আগে ছিল কেওড়া গাছের বিস্তার, আর নারিকেল গাছ দ্বারা পরিপূর্ণ। 

আর কোথায় মেলে এমন দ্বীপ!
জাহাজ নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নানা প্রজাতির জীব-বৈচিত্র্যের দেখা মেলে।  বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রজাতির স্তন্যপায়ী সামুদ্রিক জীব। চাঁদনি রাতে যেকোনো পর্যাটকদের এই দ্বীপের মুগ্ধকর পরিবেশ আকর্ষিত করে।

প্রেমের সাক্ষী মাথিন কূপ
টেকনাফ থানার প্রাঙ্গণে অবস্থিত মাথিনের কূপ। প্রেমের আত্মত্যাগের নিদর্শন হিসেবে এই কূপটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখান থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে ধীরাজ নামে একজন সুদর্শন পুলিশ কর্মকর্তা টেকনাফ থানায় বদলি হয়ে আসেন।

একদিন সকালে তিনি থানার বারান্দায় এসে দেখেন কিছু রাখাইন কন্যারা কলহাস্যে কুয়া প্রাঙ্গণ মুখরিত করছে। সেখানে ধীরাজ দেখতে পান টেকনাফের জমিদারের একমাত্র কন্যা মাথিনকে। প্রতিদিন মাথিনের জল নিতে আসায় ধীরে ধীরে ধীরাজ ও মাথিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা দুজন সিধান্ত নেয় বিয়ে করবে। এর মাঝে কলকাতা থেকে ধীরাজের বাবার চিঠি আসে কলকাতায় তাকে ফিরে যাওয়ার জন্য। মাথিনকে না জানিয়ে ধীরাজ কলকাতা ফিরে যায়। এরপর ১৪/১৫ বছর মাথিন ধীরাজকে না পেয়ে থানার কূপে আত্মত্যাগ করেন। সেই থেকে এই কূপের নামকরণ করা হয়েছিল মাথিন কূপ। তাছাড়া তাদের প্রেমের সাক্ষী হয়ে আছে এই মাথিন কূপ।

গর্জন বাগান আছে, আছে ভয়ও
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় গর্জন বাগান অবস্থিত। টেকনাফ থেকে সিএনজি ও টমটমের যোগে গর্জন বাগানে যাওয়া যায়। তবে আগের মতো পর্যটক নেই এখানে। কারণ, বিকেল হলেই বাড়ে অপহরণের ভয়। এখানের গর্জন গাছগুলো মাদার ট্রি (মাতৃগাছ) হিসেবে সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এসব গাছের বীজ থেকে প্রতি বছর হাজারো গর্জন গাছের চারা উৎপাদন করা হয়।

বন্যপ্রণী অভয়ারণ্য
হ্নীলা ইউনিয়নের সুন্দর পর্যটন এলাকার নাম ন্যাচার পার্ক। এ পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছে বিশাল বনভূমি ও প্রকৃতির সুনিপুণ সৌন্দর্যের সমারোহ। এ পার্ককে টেকনাফ বন্যপ্রণী অভয়ারণ্যও বলা হয়। কিন্তু এ এলাকায় প্রায়ই অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের দেখতে পাওয়া যায়। আর এ আতঙ্কে গত কয়েক বছর ধরে এখানে পর্যটকরা আসে না বলে অভিযোগ সচেতনমহলের। 

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমিদের কুদুম গুহা
কুদুম গুহায় যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মতো এসে নামতে হবে হোয়াইক্যং বাজারে। বাজারের পাশ দিয়ে পশ্চিমে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কুদুম গুহা। এখানে যেতে হলে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ এসকর্ট নিতে হবে। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের কাছে কুদুম গুহা দারুণ এক জায়গা।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ