‘সুমি হত্যার বিচারের দাবিতে’ মানববন্ধন

দুবাই প্রবাসী স্বামী আবদুল আউয়াল। আট বছর আগে বিয়ে হয় সুমি আক্তারের সঙ্গে। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান। দুই-তিন বছর পর বিদেশ থেকে দেশে আসতেন আউয়াল। এই আট বছরের মধ্যে যখনই বিদেশ থেকে দেশে আসতেন, তখনই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন আউয়াল। আর সারাবছর আউয়ালের মা, বোন ও ভাই সুমিকে মারধর ও নির্যাতন করতেন।
মাসখানেক আগে ফোন ঘর থেকে হারিয়ে গেছে এমন অজুহাত তুলে সুমিকে কয়েকদিন মারধর ও নির্যাতন করেন তার স্বামী। নির্যাতনে সহায়তা করেন শ্বাশুড়ি জাহেরা বেগম, ননদ সরু আক্তার ও দেবর শফিকুল ইসলাম। সোমবার পূর্বাচলের রূপগঞ্জ থানার বাড়িয়ারটেক সরকার বাড়িতে সুমিকে হত্যা করে তারা।
পরে মা, বোন ও ভাইয়ের সহায়তায় আউয়াল সুমিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে গেলে স্বামী, শ্বাশুড়ি, ননদ ও দেবর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকার লোকজন ননদকে বেঁধে রাখেন। আর স্বামী বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে সুমিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক জানালেন সুমি অনেক আগেই মারা গেছেন। সুমিকে হত্যার এমন লোকহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তার ভাই মো. বাপ্পী মিয়া।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘সুমি হত্যার বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে সুমির ভাই বাপ্পী তার বোনকে হত্যার বর্ণনা দেন।
বাপ্পী মিয়ার অভিযোগ করে বলেন, আমরা হত্যা মামলা করতে চাইলেও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা নিতে চায়নি। উল্টো স্থানীয় প্রভাবশালী ও নামধারী কয়েকজন রাজনীতিবিদের সহায়তায় রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী আমাদের হুমকি দেয়। ওসি ও প্রভাবশালীদের অনেক টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে স্বামী আবদুল আউয়াল।
ওসি বলেন, হত্যা মামলা নেয়া যাবে না। আপনারা দু’পক্ষ বসে কিছু টাকা নিয়ে মিটমাট করে ফেলেন। আমরা হত্যা মামলা করার জন্য লিখে নিয়ে গেছি। কিন্তু ওসির কথায় রাজি আমাদের মামলা নেয়নি। হত্যার পরদিন রাত ১২টার পর ওসি নিজে ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে মামলা লিখে নিয়ে আমার মাকে সই করতে বলেন। পুলিশ স্বামী আবদুল আউয়াল, তার মা জাহেরা বেগম ও বোন সরু আক্তার গ্রেফতার করেছেন। বোন ও মা ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়েছেন। তবে আউয়াল জেলে রয়েছেন।
তিনজনকে আটকের সময় বাড়ির আশপাশের লোকজন ও স্থানীয়রা ‘সুমিকে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে বলে স্বাক্ষী দিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছেন রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর। দেড়মাস পার হলেও তদন্ত কর্মকর্তা একদিনের জন্যও তদন্ত করতে আসেননি। এমনকি পুলিশ সুরুতহাল রিপোর্টও দিচ্ছেন না।
মামলার আসামী সুমির দেবর শফিকুল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেফতার করছে না। শফিকুল নিজে ও এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোকজন দিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া আউয়ালকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জামিন করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আউয়াল জামিনে বের হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাবে বলেও তার ভাই জানিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম

মিরপুর কাঁচাবাজার উচ্ছেদযোগ্য মাটি ভাড়ার আদেশ বাতিল করে চিঠি

সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেলেন নয়ন কুমার বর্মন

ছাত্রদলের সমাবেশে পরিপূর্ণ শাহবাগ

৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের নতুন কমিটি গঠিত

মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে র্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উত্তরার বিদ্যাপিট নওয়াব হাবিবুল্লাহ এর এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে
