উপজেলায় নেই খাদ্য গুদাম, মধ্যস্বত্তভোগীদের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কৃষকরা। উপজেলায় খাদ্যগুদাম না থাকায় পার্শ্ববর্তী লাকসাম উপজেলায় গিয়ে ধান বিক্রয় করতে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন এ এলাকার কৃষকরা। সরকারিভাবে ধান মনপ্রতি( ১৪৪০) টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ৯০০ থেকে ৯৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ধান। এতে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। স্বল্পমূল্যে মধ্যস্বতভোগীদের হাতেই যাচ্ছে কৃষকের এ ধান। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ এলাকায় একমাত্র ফসল বোরোর উপর নির্ভরশীল তারা। সারা বছরের খোরাকির ধান ব্যবস্থা করে মজুরি খরচ ও আর্থিক সংকটে পড়ে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি করে ফেলেন অধিকাংশ কৃষক। বীজ বপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সবকিছু উচ্চ মূল্যে পরিশোধে এ এলাকার কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিয়ে হতাশ। কৃষকরা জানান স্থানীয় হাটে নেই ন্যায্যমূল্যের প্রভাব, যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মনপ্রতি প্রায় (৫০০) টাকা কমমূল্যে বিক্রি করতে হয় ধান। এক মন ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে হিমশিম খাওয়ার কথা জানান তারা।
উপজেলার হাটিরপাড়, দিশাবন্দ, ঝলম,লৎসর সহ কয়েক গ্রামের কৃষক ফারুক, আবুছায়েদ, জিরাজুল ইসলাম,আবুল কালাম, ইউনুস আলীর সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন ডিজেল, বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। সবমিলিয়ে বেড়েছে বোরো ধান উৎপাদনের খরচ। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হাটে পাওয়া যাচ্ছেনা ধানের ন্যায্যমূল্য। হাটে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি হয় না। মধ্যস্বত্তভোগীদের নিকট স্বল্পমূল্যে ধান ছেড়ে দিতে হয় কৃষককে। তাছাড়া এ উপজেলায় খাদ্যগুদাম না থাকায় ১২ কি.মি. দুরে লাকসাম উপজেলায় খাদ্যগুদামে গিয়ে ধান বিক্রয় করতে যাতায়াত, আর্থিক সময়, নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ফলে তৃণমূলের অধিকাংশ কৃষক এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। মনোহরগঞ্জ বাজার ধান ব্যবসায়ী মোঃ আবদুল কাদের মোল্লা বলেন - ধানে ন্যায্য মূল্য না থাকায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন, উপজেলায় একটি খাদ্য গুদাম প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবার এ উপজেলায় ৯ হাজার ৯শ ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আবাদকৃত জমির ৯৫ শতাংশই হাইব্রিড জাতের ধান। এ উপজেলায় প্রায় ৭২ হাজার ৩শ ৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা জানান তিনি। এবার সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ৩৬ টাকা ও প্রতিমণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪শ ৪০ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় একটু বেশি।উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, এ উপজেলায় সরকারিভাবে ৮শ ১১টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিক্রয়কেন্দ্র খাদ্যগুদাম না থাকায় এখানকার কৃষকরা পার্শ্ববর্তী লাকসাম উপজেলায় গিয়ে ধান বিক্রয় করতে হয়। ফলে অধিকাংশ সময় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না। দূরত্ব, খরচ ও যাতায়াত বিবেচনায় কৃষকরা মনোহরগঞ্জ থেকে লাকসাম উপজেলায় এসে ধান বিক্রয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বরাদ্দের অতিরিক্ত চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

হাটহাজারীতে জশনে জুলুস পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুন্নবী পালিত

রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছাতকে ধর্ষন মামলার আসামী রুহুল গ্রেফতার

চিতলমারীতে বিএনপি’র স্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন

প্রবাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাটহাজারীর এক ব্যক্তির মৃত্যু

রৌমারীতে অসাধু সার ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ, চাইল্ড কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

‘জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত

রাণীনগরে সড়ক পাকাকরণের দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভূমি কর্মকর্তার কারসাজিতে ভুয়া খারিজ, তদন্ত দাবি এলাকাবাসীর

শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ করেই পরিদর্শনে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব-প্রীতম দাশ

মজুরী বৈষ্যমের প্রতিবাদে অস্থায়ী চা শ্রমিকদের সমাবেশ

বেপরোয়া গতিতে চেয়ারম্যান পরিবহনের দুর্ঘটনা থামছে না, আতঙ্কে দুমকীবাসী
Link Copied