ঢাকা বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫

মুকসুদপুরে কনকনে শীত ও কুয়াশার মধ্যে পেয়াজের চারা রোপনের চলছে কৃষকদের কর্মযজ্ঞ


কাজী ওহিদ, মুকসুদপুর photo কাজী ওহিদ, মুকসুদপুর
প্রকাশিত: ৩১-১২-২০২৫ দুপুর ৩:১৭

কনকনে শীত ও কুয়াশার মধ্যে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পেয়াজের চারা রোপনের চলছে কৃষকদের কর্মযজ্ঞ। মুকসুদপুর উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে কৃষকরা বেশী পেয়াজের চারা রোপন । কনকনে শীতে প্রচুর কুয়াশার মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে মাঠে কৃষকরা পেয়াজের চারা  লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
-গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা, পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার সালথা,নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলায় প্রচুর পেয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। এলাকার উৎপাদিত পেঁয়াজ খুবই সুস্বাদু এবং উন্নতমানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এই এলাকার পেয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মিজানুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থানে কৃষকরা পেঁয়াজের চাষাবাদ করে থাকে। এই উপজেলায় তিন প্রকার পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে কৃষকরা গুটি পেয়াজ লাগিয়ে থাকে। যাহা দেড় মাসের মধ্যে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যে গুটি পেয়াজ পরিপূ্র্ণ হয়ে ঘরে উঠে। নভেম্বর হতে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কৃষকরা চারা রোপন (হালি) পেয়াজ লাগিয়ে থাকে। প্রায় সাড়ে ৩ মাস হতে ৪ মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ পেয়াজ হয়। এই এলাকায় কৃষকরা চারা রোপন (হালি) পিয়াজ সবচেয়ে বেশী আবাদ করে থাকে। প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না হলে ৫২ শতকের বিঘায় ১২৩/১৫০ মণ পর্যন্ত পেয়াজের ফলন হয়ে থাকে। এজন্য কৃষকরা চারা রোপন (হালি) পেয়াজের আবাদ বেশী করে থাকে। গত বছর ২৯০০ হেক্টর জমিতে সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিল পেয়াজ চাষাবাদে। গত বছরের তুলনায় এবছর কৃষকরা অনেক বেশী পেয়াজের চাষাবাদ করছেন। এছাড়া বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা বীজ পেয়াজ রোপন করেন থাকে। এ উপজেলায় প্রতিবছর ১০/১৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা এই বীজ পেয়াজ রোপন করে।
মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলা গ্রামের সালাম শরীফের ছেলে আকরাম শরীফ দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় কৃষি কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তিনি প্রতি বছর অন্যান্য ফসল চাষাবাদের ন্যায় ৪/৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ফসলের চাষাবাদ করে থাকে। পেয়াজের বীজ, সার ও কীটনাশক ঔষধের যে পরিমান দাম উৎপাদিত পেয়াজ বাজারে বিক্রয় করে তাতে পেয়াজ চাষাবাদ করে ঠিকে থাকা বড়ই কঠিন। সরকার যদি পেয়াজ চাষাবাদের জন্য ভুর্তকি দিতো অথবা বীজ,সার ও কীটনাশক ওষুধের দাম কমাতো তাহলে এলাকার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক উৎসাহ পেতো এবং তারা অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হতো। তিনি আরো বলেন, মুকসুদপুর পৌরসভার টেংরাখোলা গ্রামের
পলোর চাপ মাঠ পেয়াজ চাষের উপযোগী একটি মাঠ। এই মাঠে পেয়াজের আবাদ করলে ব্যাপক পেয়াজের ফলন হয়ে থাকে। কিন্তু বর্ষার পরে বিভিন্ন মাঠের পানি দ্রুত সরে গেলেও এই মাঠ নিচু হওয়াতে মাঠে পানি জমে থাকে। বিধায় জমির মালিকদের এই মাঠে পেয়াজ রোপন করতে অনেক দেরী হয়ে পড়ে। সরকারি ভাবে একটি ড্রেন তৈরি করে মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে একদিকে যেমন জমির মালিকরা উপকৃত হবে অপরদিকে দেশের পেয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এমএসএম / এমএসএম

চাঁদপুরে বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

মোহনগঞ্জে নিয়োগ ও বিএড সনদ সবই ভুয়া, ২২ বছর ধরে শিক্ষককতা করছেন নুরুজ্জামান

নাটোরের সিংড়ায় কচুরিপানার কবলে ৫ হাজার হেক্টর জমি

সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় শিবচরের কৃষকরা

মানিকগঞ্জে রিতার বাড়ি ভাংচুর মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নতুন পেশেন্ট বেড প্রদান করলো পৌরসভা

চাঁদপুরে সংবাদ প্রকাশের পরও মাদকের ভয়াবহতা কমেনি

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোটালীপাড়ায়, বিপর্যস্ত জনপদ

ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

নড়াইল-২ আসনে বিজয়ের আশাবাদী বিএনপি প্রার্থী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

সারাদেশের মতো ক্ষেতলালেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুরে কনকনে শীত ও কুয়াশার মধ্যে পেয়াজের চারা রোপনের চলছে কৃষকদের কর্মযজ্ঞ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাঘা উপজেলা প্রেসক্লাবের গভীর শোক প্রকাশ