মির্জাগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিববুল্লাহ্র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ এ নিয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে ফেসবুক পোস্টে এর নিন্দা জানাচ্ছেন।
গত ১১ সেপ্টম্বের শনিবার পার্শ্ববর্তী জেলার বেতাগী উপজেলায় আমড়া পারার সময় গাছ থেকে পড়ে আবুল বাশার (৪২) নামে এক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ হস্তন্তারে দেরি হলে নিহতের স্বজনেরা দায়িত্বরত পুলিশের সাথে উত্তেজিত হয়ে লাশ নিয়ে চলে যেতে চায়। এ ঘটনায় লাশ হস্তন্তারে ওসির ঘুষ দাবির শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে সাধারণ মানুষ এ নিয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মির্জাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন লিখেছেন, আমার জন্মস্থান থানাসংলগ্ন এলাকায়। এ থানায় যতজন জনগণের উপকারী ওসি এসেছেন তার মধ্য বর্তমান ওসি অন্যতম। কিছু দালাল সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের দিয়ে মনগড়া তথ্য প্রকাশ করিয়ে তার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন লিখেছেন, বর্তমান ওসি মহোদয়ের নেতৃত্বে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ ভালো সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
মো. ফসয়াল খান লিখেছেন, গত ৮ মাস তার কাছ থেকে মানুষ যে ন্যায়বিচার পেয়েছে তা মির্জাগঞ্জের প্রত্যেক সাধারণ মানুষ জানে। যতই বাধা-বিপত্তি আসুক, একদিন ভালো মানুষদের জয় হবেই।
সুবিদখালী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান লিখেছেন, ওসি সাহেব ভালো মানুষ, একজন ভালো মানুষের বিরুদ্ধে অহেতুক লেখালেখি উচিত নয়।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিবুল্লাহ বলেন, লাশ পার্শ্ববর্তী উপজেলার, তাই মৃত্যু সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে সময় লেগেছে। লাশ হস্তান্তরে বিলম্ব দেখে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমএসএম / জামান