পটুয়াখালী পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের মানুষেরা বলে, বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট রয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যখন একটি নতুন পোর্ট গড়ার বা চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে আরেকটি পোর্ট তৈরির কথা বলা হয়, তখনই বলা হয়-দেশ চলে গেলো। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে যদি কোনো অপারেটর নিয়োগের কথাও ওঠে, তখনও বলা হয়-দেশ চলে গেলো। বিষয়টি এমন যেন চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই দৌড়াচ্ছে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পায়রা বন্দরকে এ অঞ্চলের জন্য সাসটেইনেবল করতে হবে। আমি মনে একটি পোর্টের নিজস্ব ড্রেজার থাকা দরকার। বাংলাদেশে এমন কোন পোর্ট নাই যেখানে ড্রেজিং না হয়। আশা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে পায়রা বন্দরের ড্রেজার এবং ড্রেজিংয়ের সেকশন করাতে পারবো। একটা বন্দরের জন্য ১০ বছর কিছুইনা। ২০ বা ২৫ বছর হলে বলা যাবে যে এটার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুর আড়াইটায় কুয়াকাটা পৌর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে পায়রা বন্দরের মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কিত অনুষ্ঠান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের উচিত বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও কার্যকর করে তোলা। পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল। তিনি জানান, আগামী ২০২৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এজন্য সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রস্তুতি ও সহায়তা কামনা করেন তিনি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র টিম লিডার মেনো মুইজ মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন। বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
দ্বিতীয় সেশনে বিভিন্ন অংশীজন পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান ও সামগ্রিক অগ্রগতির বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
মাষ্টারপ্ল্যান প্রনয়নের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বুয়েটের বিআরটিসি ও রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র সঙ্গে চুক্তি করে। পরে দীর্ঘ ৬ বছর পরিশ্রমের পর তারা মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করেন।
মাষ্টারপ্ল্যানে ১৯টি প্রধান উপাদান নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রধান অংশ সংরক্ষণ এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা। এছাড়া এর মধ্যে ঢেউ, নাব্যতা, ড্রেজিং ও ইউটিলিটি সংযোগসহ বিভিন্ন উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।।
এমএসএম / এমএসএম
নড়াইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ও নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ
নোয়াখালীতে সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উদয় বৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫
গাইবান্ধা সাঘাটায় ৭ নভেম্বর: বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
সাটুরিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বালিয়াকান্দিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাক্ষপতি বেকার যুবক রিপন
ভূরুঙ্গামারীতে মায়ের অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেফতার
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাটে র্যালী ও আলোচনা সভা
অভয়নগরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা পেলেন এক হাজার মানুষ
মনপুরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি'র ঐক্যের প্রত্যয়।বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মোরেলগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র্যালী ও আলোচনা
রায়পুরে জামায়াত প্রার্থীর মটরসাইকেল শোভাযাত্রা