গাজীপুরে জলাবদ্ধতা: পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি, নীরব সিটি কর্পোরেশন

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো উদ্যোগ না থাকায় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জিরানী বাজার থেকে কাশিমপুরে যাওয়ার পথে মোল্লা মার্কেট এলাকায় রাস্তার দুই পাশে গড়ে ওঠা বাজার ও বিভিন্ন কারখানার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া 'সফিউল্লার' খালটি এখন দখলদারদের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাদের ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি দখল হয়ে যাওয়া। প্রভাবশালী ভূমি খেকো এবং কিছু ফ্যাক্টরির মালিক এই খাল দখল করেছেন। তাদের অভিযোগ, মৌসুমী গার্মেন্টস ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খালকে ড্রেনে পরিণত করে ঢালাই করেছে, যা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আ. খ. ম. মোজাম্মেল হকের হাত ধরেই দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে হয়েছিল। বর্তমানে অকো টেক্স খালের ওপর ৫তলা ভবন নির্মাণ করছে এবং উত্তরা গার্মেন্টস ও ঝুমা গার্মেন্টসের অংশবিশেষ খালের ওপর অবস্থিত। এছাড়া লাবিব ফ্যাশনও খালের বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। নামে বেনামে অসংখ্য ভূমিদস্যু এই খাল গ্রাস করেছে।
হাজার হাজার পরিবার অসহায়ভাবে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে মাছিহাতা সোয়েটার্স লিমিটেডের সামনে থেকে শুরু হয়ে চক্রবর্তী পর্যন্ত বিস্তৃত ৪০ ফুট প্রশস্ত খালটি বিলীন হয়েছে, যা বহু বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই খালটি পূর্বে তিনটি প্রতিষ্ঠান—পলাশ হাউজিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক প্রকল্প এবং সোনালী পল্লী—ত্রিমুখী দলিলের মাধ্যমে জনসাধারণের খাল হিসেবে নির্ধারণ করেছিল।
অনুসন্ধানে ১৯৯৩ সালের একটি দলিল পাওয়া যায়, যেখানে তিনটি হাউজিং প্রকল্পের সম্মিলিত একটি দলিল গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে করা হয়েছে। দলিলের দাগ খতিয়ান উল্লেখ করে নির্দিষ্ট স্থান পরিমাপ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে, দক্ষিণ পানিশাইল মৌজায় খতিয়ান ৭৮.৭৯ আরএস, খতিয়ান নং ১২২.২০০/এস এ ১৬৪.১৬৩.১৬২.১৬১.১৬০.১৫৭.১৫৫.১৫৬.১৫৪.১৫৩.১৫২.১৪৪.১৫১.১৫০.১৪৯.১৪৮.১৪৭.১৩৮.১৪০.১৪৫.১৪৬.১৪৩.১৪১.১৩৭.১৩৩.১৩৬.১৩৪.১৩২.১৩১.১৩০.১২৯ উল্লেখিত দাগের এসএ ৩১টি নিচু জমি (২৯.৬০ একর) এর পশ্চিম পাশে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য ৪.৯৫ একর সম্পত্তি বরাদ্দ করা হয়েছিল। রাস্তা, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক খুঁটির জন্য এই সম্পত্তি ৪০ ফুট প্রশস্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম বিপদে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে পানি প্রবাহিত না হতে পারায় পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে এবং পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
নদী, খাল, ডোবা বা জলাশয় ভরাট বা খনন করলে এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডিসি অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি বিধান থাকলেও, এই সমস্যার এখনো কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না।
এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
