ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

খুবির আবাসন সংকট নিরসনে প্রধান বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার


অর্ক মন্ডল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় photo অর্ক মন্ডল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ৮-৮-২০২৫ দুপুর ৩:২৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দেশের অন্যতম শীর্ষ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা‌ পীঠস্থান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সুনাম রয়েছে। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ ভূমি সংকট, যা শিক্ষার্থী আবাসনের তীব্র ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। এ সংকট নিরসনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার।

বর্তমানে খুবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি, কিন্তু হল রয়েছে মাত্র ৫টি। ফলে মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পান, বাকি প্রায় ৭০ শতাংশকে বাইরে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট জমি প্রয়োজনীয় পরিমাণের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ হওয়ায় হল ও অবকাঠামো নির্মাণে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। জীববিজ্ঞানভিত্তিক ডিসিপ্লিনগুলোর মাঠ গবেষণার জন্যও পর্যাপ্ত জমি নেই।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ ও জমি অধিগ্রহণের দাবি নিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীরা ৩ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন এবং ৬ নভেম্বর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা গল্লামারী মৎস্য খামারটি অবিলম্বে খুবির অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানান।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে দাবি উপস্থাপন করে। ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর মৌখিক অনুরোধের পর ৫ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিত আবেদন পাঠানো হয়। এরপর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

কোনো সমাধান না আসায় ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা আবারও প্রধান ফটকে মানববন্ধন করেন এবং খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তীতে ৯ মার্চ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘মীর মুগ্ধ’-এর দাবি হিসেবে উল্লেখ করে তা যৌক্তিক বলে অভিহিত করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

১৪ মার্চ উপাচার্য পুনরায় শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়ে খামার হস্তান্তরের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। সূত্র জানায়, গল্লামারী মৎস্য খামারটি খুবির সীমানার ভেতরে একটি বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হিসেবে অবস্থান করছে, যা নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও কেন্দ্রীয় এলাকার সংযোগে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। ১০.৩৫ একর জমি হস্তান্তর করা গেলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণ,সীমানা প্রাচীর ও নিরাপত্তা জোরদার,প্রাকৃতিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন,গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সম্ভব হবে।বিশেষ করে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিন এই জমি পেলে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরিণত হতে পারবে, যা দেশের মৎস্য গবেষণা ও উৎপাদনে বড় অবদান রাখবে।

গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার সময় ময়ূর নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব ছিল, যা এর জন্য উপযোগী ছিল। কিন্তু বর্তমানে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় এবং রূপসা নদীর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই সুবিধা আর নেই। তাই জোয়ার-ভাটা সম্পন্ন নদীর পাশে নতুন স্থানে খামার স্থানান্তর করাই যৌক্তিক।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন,“জমি সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণাগার সম্প্রসারণ এবং আবাসন সমস্যা সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। খামারের জমি খুবির কাছে হস্তান্তর করা গেলে তাৎক্ষণিক সংকট নিরসন এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”

এমএসএম / এমএসএম

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক

আমরা ক্রমশ সাম্য থেকে বৈষম্যের দিকে আগুয়ান হচ্ছি: ড. সলিমুল্লাহ খান

চবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী

পবিপ্রবিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল ও সুলতানা রাজিয়া হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন

পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা