চরফ্যাশনে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাশেমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেমকে এম,পি ২৩৯/২০নং মোকদ্দমা সরজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের নোটিস জারি করে তদন্তের বিষয়ে অবগত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাদীপক্ষ উপস্থিত হলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিবাদীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিবাদীরা ৫০ হাজার টাকার অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা দিলে তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা জায় স্থানীয় চরফকিরা মৌজার সিএস দাগ নং ৫৫৭/১, ৫৫৯/১; খতিয়ান ১৮৪ নং এবং ৫২৪/১,৫২৫/১, ১৮৫নং খতিয়ানভুক্ত ১০ একর জমির বন্দোবস্ত সূত্রে মালিক জনৈক আ. কাদেরে ও আ. মতলেব ভূঁইয়া। তাদের কাছ হতে গত ১১/৭/১৯৬৬ ইং তারিখে ৩৮৪৯, ৩৮৫০নং দলিল মূলে আলমগীর ও রুহুল আমিনরা ৭.৫০ একর জমির খরিদসূত্রে মালিক হন। উক্ত জমির অদ্য পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছেন কিন্তু এর মধ্যে গত ৮/১২/২০ইং তারিখে মৃত রত্তন ভূঁইয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বাদী হয়ে মোকাম চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। উক্ত মামলার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেমকে দায়িত্ব প্রদান করে আদালত।
উক্ত তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিবাদীপক্ষ নিরুপায় হয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। তার পরও তদন্ত কর্মকর্তা বাদীপক্ষের সঙ্গে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে বিবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পক্ষান্তরে দেখা যায়, ওই দাগের ওই খতিয়ানভুক্ত বিরোধীয় জমির বিষয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪১০/২০ (শশী) মামলা দাখিল করেন। উক্ত মামলার তদন্তভার ওসি শশীভূষণ থানাকে দিলে তিনি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওসি সাহেব প্রকাশ্যে ও গোপনে এবং স্থানীয় লোকজনের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তাতে প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীদের বাল্যকালে পিতা-পুত্রদ্বয়ের নামে জমি খরিদ করেন। একই দিনে দুটি দলিলে একই তারিখে ১১/০৭/১৯৬৬ সনে ৩৮৪৯/৩৮৫০নং দলিল মূলে। দুজন দাতা দুই দলিলের সাথে (সাক্ষী) পরিচিতি দিয়েছেন দাতাদ্বয়, এমনই প্রমাণ দেখা যায় দলিল দুটিতে। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিবাদীরা জমি ভোগদখলে বিদ্যমান রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র যখন করা হয়েছে তখন তথ্য সংগ্রহকারীরা সঠিক তথ্য সংগ্রহ না করার কারণে দলিলের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র উল্লিখিত জন্ম তারিখের গরমিল রয়েছে বিবাদীদের। যেহেতু বিবাদীদের কেউ কোনো চাকরি করেন না, তাই তারা জন্ম তারিখ সংশোধন করেননি। কারণ জন্ম তারিখ সংশোধন করতে গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ এবং শিকার হতে হয় ভোগান্তির। তবে বিবাদীদের নামে আরএস, সিএস, পিএস, এসএ, ডিয়ারা ও বিএফ খতিয়ানভুক্ত আছে।
সেই সাথে বিবাদীরা গত ১১/৭/১৯৬৬ সাল থেকে চলতি সাল পর্যন্ত সরকারকে ভূমি কর পরিশোধ করে আসছেন বলে জানান আলমগীর গংরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেমের (তহসিলদার) সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আমার পক্ষে আর তাদের পক্ষে রিপোর্ট করা সম্ভব নয়।
৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মনে পরে না যে আমি তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছি।আপনাকে তো বিবাদীরা পাঁচ হাজার টাকা দিয়াছে? জবাবে তিনি বলেন যদি তাদের কাছ থেকে পাচঁ হাজার টাকা নিয়ে থাকি আমি তাদেরকে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য।
এমএসএম / জামান

আশুলিয়ার জামগড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

অবৈধভাবে কানাডা থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা বালু পাপ্পির নিরব চাঁদাবাজি

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদে ছয়জনের প্রাণহানি

মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রেসক্লাবের সভাপতি সহ তিনজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

বারহাট্টায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নোয়াখালী সুবর্ণচরে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে উত্তাল যমুনা সেতু মহাসড়ক

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাটে আলোচনা সভা

মাগুরায় আসন্ন কাবাডি ও ক্রিকেট লীগ উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে ঘরে ঘরে জনে জনে কর্মসূচি নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

বিরামপুরে দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নাচোলে তে-ভাগা আন্দোলনের বীরাঙ্গনা নেত্রী ইলামিত্রের ২৩ তম মৃত্যু বাষিকী পালিত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন
Link Copied