ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় অচল বোদা ডায়াবেটিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র


বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি photo বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩১-৮-২০২৫ দুপুর ১:৫৮

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করা বোদা ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে উপজেলার মানুষ। চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ও টেকনেশিয়ানের উদাসিনতা ও তদারকির অভাবে ডায়াবেটিক কেন্দ্রটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। 

একাধিকবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েও সেবার মান উন্নয়ন করা যায়নি। প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল সাশ্রয়ী চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া। অথচ এখন প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১ থেকে ৫ জন রোগী আসেন। কিছু মাসে সর্বোচ্চ ৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে রোগীর সেবা দিতে ব্যর্থ হলেও বিভিন্ন সময়ে প্রকল্পের অর্থ বরদ্দ দেওয়া হয়েছে ঠিকই। 

স্থানীয়দের অভিযোগÑ কেন্দ্রে ডাক্তারের সাইনবোর্ড দেওয়া থাকলেও নিয়মিত কোনো ডাক্তার থাকেন না। প্যাথলজি টেকনিশিয়ান থাকলেও তিনি প্রায়শই অনুপস্থিত থাকেন। টেকনিশিয়ান যেন উপজেলার একজন উচ্চপদর্স্থ কর্মকর্তা। তিনি উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সভাপতি হয়ে সেসব তদারকি করে বেড়ান। তার জায়গায় প্যাথলজীক্যাল পরীক্ষার কাজে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুজন অদক্ষ লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এতে চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে রোগীদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। কোন রোগী জরুরী অবস্থায় দেখা দিলেও সেখানে যাননা সেবা নিতে। 

চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় সোলেমান বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম কাছে হাসপাতাল আছে বলে সুবিধা পাবো। কিন্তু এখানে গেলে কোনো ডাক্তার পাওয়া যায় না। টেস্ট করাতে গেলেও বিশেষজ্ঞ নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা জেলা শহরে যেতে হয়।”

ফাহিম নামে আরেক রোগী বলেন, “আমি সিবিসি টেস্ট করতে এসেছিলাম। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নিজে না এসে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এক অদক্ষ নারী রক্ত নিলেন। নার্সিং বিষয়ে কিছু জানেন কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এটা রোগীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।”

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নুর ইসলাম বাবু জানান, “আমি প্যাথলজি টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে আছি। এখানে যারা কাজ করছে তারা আমার কাছে শিখছে। তাদের বেতন ইউএনও স্যার দেন। তবে ডাক্তার না থাকায় রোগীর সংখ্যা কম।”

তবে অভিযোগ রয়েছে, নুর ইসলাম বাবু উপজেলা পরিষদ কর্তৃক গৃহিত একাধিক প্রকল্পের চেয়ারম্যান হলেও অনেক প্রকল্পের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে তার উপস্থিতি না থাকলেও তাকে প্রায়শই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশপাশে দেখা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে তাকে সভাপতি করা হয়েছে। অথচ সে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি নন। অভিযোগ রয়েছে প্রকল্পের টাকা লুটপাট করার জন্যই তাকে অবৈধভাবে প্রকল্প সভাপতি করা হয়েছে তাকে। 

নবাগত বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এমএসএম / এমএসএম

জাঁকজমক ও আনন্দঘন পরিবেশে পাবনা জেলার ১৯৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নওগাঁয় হারিয়েছে প্যাডেল চালিত রিকশাঃ ভরসা এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা

বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

রাজস্থলীতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন

আদমদীঘিতে বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত

বাউফলের জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম: ইউপি সচিবকে শোকজ

লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে কোন বৈষম্য রাখবো নাঃ আবুল কালাম

হাটহাজারীতে সরকারি পথে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

বালিয়াকান্দিতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছুটির দিনেও চড়া মোহনগঞ্জে সবজির বাজার

রায়গঞ্জে ব্যারিস্টার বাতেন : ‘৩১ দফাই শান্তি ও সমৃদ্ধির রূপরেখা’

নরসিংদীতে সবজির বাজারে অস্থিরতা