কৃষকরা বিপাকে
কুড়িগ্রামে আমনের ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন সার সংকট

কুড়িগ্রামে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন সার সংকটের কারণে বিপাকে কৃষক। সারা দেশের মত কুড়িগ্রামেও সার সংকটক থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবী খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা সার না পেয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা কৃষি র্কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখছে।
কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে চলছে রোপা আমন ও সবজি আবাদ। আমন ধান চাষের শুরুতেই সৃষ্টি হয়েছে সারের সংকট। দিন যতই যাচ্ছে সংকট তীব্র হচ্ছে। কৃষকরা দিনের পর দিন সার ডিলারের কাছে ধর্ণা দিয়েও পাচ্ছে না সার। জেলায় চলতি বছর বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চরাঞ্চলেও বেড়েছে আবাদ। এর সাথে যোগ হয়েছে জেলায় শীতের আগাম সবজি চাষ শুরু হওয়ায় সারের চাহিদা বেড়েছে। আর সুযোগ কাজে লাগিয়ে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চড়া দামে বিক্রি করছে। আমন চাষের শুরুতে জেলা জুড়ে ইউরিয়া,টিএসপি এবং ডিএপি সারের সংকট বিরাজ করছে। জেলায় বি সি আইসির সার ডিলার ৯৪জন। আর বি এ ডিসির সার ডিলার ১১৬জন। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে রৌমারী,নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী এবং ফুলবাড়ী উপজেলায় সার সংকট নিয়ে কৃষকদের মাঝে হা-হাকার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা বলেছেন চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না তারা। সারাদিন লাইনে দাড়িয়ে জন প্রতি ১০/২০কেজির উপর সার দিচ্ছে না ডিলাররা। সারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন সহ নষ্ট হচ্ছে আগাম সবজির আবাদ।
চলতি বছর জেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২০হাজার ৫শ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৪শ হেক্টর। আর সবজী জাতীয় ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে তার চেয়েও বেশি। জেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আগষ্ট মাসে বরাদ্দ আসে ইউরিয়া-৬২৫৩ মেট্রিক টন,টিএসপি-৮০৯ মেট্রিক টন,ডিএপি-১০৭০ মেট্রিক টন,এমওপি-১৫৭০মেট্রিকটন আর সেপ্টেম্বর মাসে বরাদ্দ আসে ইউরিয়া-৩৮৯৪মেট্রিক টন,টিএসপি-৪৫২মেট্রিকটন,ডিএপি-১২০১মেট্রিকটন,এমওপি-১১১০মেট্রিকটন। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সন্যাসী গ্রামের কৃষক মর্তুজা, আতা, লিটন জানান বর্তমান বাজারে ইউরিয়া পটাশ,ড্যাপ সার বাজারে দুষ্প্রাপ্য্ হয়ে উঠেছে। প্রতিটি সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।আবাদ করা। বাজারে টি এস পি ৪২ টাকা, ডি এ পি ৩৫ টাকা ইউরিয়া ৩৪ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত সার সরবরাহ না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মন্ডল পাড়া গ্রামের জয়নাল,রহমান আলী জানান এবার বন্যা হয়নি। মানুষ চর-দ্বীপচর সহ বিবভন্ন এলাকায় ধান ও সবজির আবাদ করেছে। চাহিদার তুলনায় আমরা সার পাচ্ছি না। সব সারের সংকট। ডিলাররা পরযাপ্ত সার দিতে পারছে না। যতটুকু সার দিচ্চে তার দাম আগের তুলনায় দ্বিগুন নিচ্ছে।। সারের অভাবে ধান ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক , আবদুল্লা আল মামুন জানান এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হবার কারণে চরাঞ্চলে রোপা আমনের
আবাদ বেড়ে যাওয়ায় সারের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে বর্তমান সারের কোন সংকট নেই। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের কমকতাদের মাধ্যমে কৃষকদের সার সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম

ভুরুঙ্গামারী মহিলা কলেজে নবীনদের গাছ দিয়ে বরণ করলো উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল

নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ওরিয়েন্টেশন ক্লাস

নরসিংদীতে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

চন্দনাইশে বাসের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৩, আহত-৭

কুড়িগ্রামে আমনের ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন সার সংকট

চর আষাড়িয়াদহে পদ্মার ভাঙনে ৩০০ পরিবার ছাড়ছে প্রিয় জন্মভূমি

ভূরুঙ্গামারীতে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টা, মাংস মাটিতে পুঁতে ফেললো প্রশাসন

নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, ফেনীতে আবদুল আউয়াল মিন্টু

অভয়নগরের ৭৫ দিনে কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত ৬০৫ জন

সন্দ্বীপে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েতের উঠান বৈঠক, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির আহ্বান

কুষ্টিয়ায় পূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত
