ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লোহাগাড়ায় প্রধান শিক্ষকের গাফেলতিতে অনিশ্চিত এক ছাত্রীর শিক্ষাজীবন


লোহাগাড়া প্রতিনিধি photo লোহাগাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-৯-২০২১ দুপুর ৪:২৪

মা-বাবার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শিক্ষক হবে উম্মে ফাতেমা সাদিয়া। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তাদের স্বপ্ন। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর জানতে পারে জেএসসির রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দিয়েও হয়নি সাদিয়ার রেজিস্ট্রেশন। প্রধান শিক্ষকের এতবড় ভুল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সাদিয়ার মা-বাবা। তাই গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর উপস্থিত হয়ে মেয়েকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন কলাউজান শাহ মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারী সাদিয়া জানায়, মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ২০১৭ সালে পিইসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ভর্তি হন কলাউজান শাহ মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে নিয়মিত পাঠদান শুরু করেন। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়। জেএসসির রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন তিনি। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করে অটোপাসের মাধ্যমে রোল নাম্বার ২৭ দিয়ে নবম শ্রেণীতে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পাঠদান শুরু করেন তিনি। কয়েক মাস যেতেই যখন নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় তখন সে ১১৬৫৯ নাম্বার বেতন রশিদের মাধ্যমে ১ হাজার ৩শ ৪০ টাকা   টাকা জমা দেন।  রেজিষ্ট্রেশন শুরু হলে প্রধান শিক্ষক জানান ভুলক্রমে তার জেএসসির রেজিস্ট্রেশন হয়নি। আবার তাকে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে।

সাদিয়ার মা শারমিন আক্তার জানান, শিক্ষকের এমন গাফেলতি মেনে নেয়া যায় না। শিক্ষকের একটি ভুলের কারনে আমার মেয়ে সাদিয়ার ভবিষ্যৎ ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পিছিয়ে পড়েছে তার জীবন থেকে চারটি বছর। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে সাদিয়া। খাবার ছেড়ে দিয়ে কান্না করতে করতে দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ বিষয় নিয়ে যখন প্রধান শিক্ষকের কাছে যায় তিনি নমনীয় না হয়ে উল্টো খারাপ ব্যবহার করেছে আমাদের সাথে। তারপর আমরা স্কুল ম্যানেজম্যান্টকে বিষয়টি অবগত করলে তারাও কোন সুরাহা করেন নি। বরং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হয়ে কথা বলেছেন। উল্টো ভুলটা আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করতেছেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজম্যান্ট কমিটি। এ বিষয়ে ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের গাফেলতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হােসেন জানান, অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চলাকালীন ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পিইসির সনদ ও জন্মনিবন্ধনের কপি চেয়েছিলেন। ঠিক সময়ে কাগজগুলাে দিতে না পারায় তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রেজিস্ট্রেশন না হলে ৯ম শ্রেণিতে ক্লাস ও বেতন নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, করােনার কারণে সব ক্লাসে অটোপাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর শিক্ষার্থীর রেজিস্টার বহিতে যে নামগুলাে ছিল সবগুলাে পরবর্তী ক্লাসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ভুলবশত ওই শিক্ষার্থীর নামও পরবর্তী ক্লাসের রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

লােহাগাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে ৮ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন না হাওয়ার অভিযােগ এনে এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযােগ করেছে।  অভিযােগটি সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করা হবে। যদি প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসএম / জামান

মিয়ানমারে পাচারকারে দুই কিশোর উদ্ধার, আটক এক রোহিঙ্গা পাচারকারী

উখিয়া ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

নারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সারিকার মর্মান্তিক মৃত্যু

রাজশাহীতে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৫

রাঙামাটিতে পাহাড় নিধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন

কাউনিয়ায় জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে স্কুল কমিটির সভাপতি হলেন বিএনপি নেতা

মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যদের মাঝে ত্রুেস্ট বিতরণ

মুরাদনগরে প্রশাসনের অভিযানের ক্ষতি নেই ড্রেজার ব্যবসায়ীদের

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আমিনুর রহমান টুকু স্মরণে দোয়া মাহফিল

হাতিয়ায় ঋণ না পেয়ে হীড সংস্থার কার্যালয়ে এক ব্যবসায়ীর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ

লোহাগাড়ায় সাউথইস্ট ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরে অবরোধ, দুই মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার যানজট

দিনমজুর হত্যা মামলার আসামি নজির আহমদ কাতারে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে