ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৮ হাজার টাকার টেবিল ৩৫ হাজার টাকা, ইউএনও বললেন ৬৮ হাজার দাম দিতে পারতাম


সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড় photo সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ২৯-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৭

৮ হাজার টাকার টেবিল দাম ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় চার হাজার টাকার চেয়ার ১১ হাজার ৩৫২ টাকা, সাড়ে ৫০০ টাকার ফুটবল এক হাজার ৩৩৩ টাকা, এমন অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হয়েছে,পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এডিপি প্রকল্পে। যথাযথ নিয়ম-কানুন না মেনেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পের নামে যে হরিলুট হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও সেই পুরানো প্রেতাত্মা ভর করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরজমিনে প্রকল্পটির ব্যয় যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ও প্রস্থ সাড়ে তিন ফুট মেহগনি কাঠের টেবিল তৈরিতে যাবতীয় মূল্যসহ ৮ হাজার টাকায় পাওয়া গেলেও প্রকল্পে দাম ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।প্রতিটি চেয়ার চার হাজার টাকার মধ্যে নির্মাণ সম্ভব হলেও দাম ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ টাকা। সাড়ে ৫০০ টাকার ফুটবলকে ১ হাজার ৩৩৩ টাকা। এক একটি উপাদানের কেনাকাটার অতিরিক্ত ব্যয় সর্বনিম্ন দুই থেকে চার গুণ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। সরেজমিনে এটাও দেখা গেছে, ৯টি টেবিল ও ৪২টি চেয়ার বরাদ্দ থাকলেও ছিল ৭টি টেবিলও  ৩০টি চেয়ার। 

স্থানীয় কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাজিমউদ্দিন, মোস্তফা সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, টেবিল চেয়ারের যে নকশা,কাঠ তাতে একটি টেবিল ও একটি চেয়ারে চার-পাঁচ হাজার টাকার কাঠসহ।সবকিছু মিলে ১২ হাজার টাকা হলেই দেওয়া সম্ভব।

উপজেলা প্রকৌশলী ও ইউএনও সূত্রে জানা গেছে ,২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এডিপি বরাদ্দ ৮৪ লাখ, রাজস্ব বরাদ্দ প্রায় ৩৯ লাখ টাকা।তার মধ্যে পিআইসি কমিটির মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ,ইজিপি টেন্ডারের মাধ্যমে ৪৫ লাখ এবং কোটেশনে নেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকার কাজ। যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজের পছন্দ মতো এক ঠিকাদারকেই ৪০ লাখ টাকার সংস্কার কাজ দিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে টেনিস গ্রাউন্ডে ২০ লাখ, বেরং কমপ্লেক্স ১০ লাখ, ইউএনওর বাস ভবন মেরামত বাবদ ১০ লাখ, পিকনিক কর্নারের জন্য ১০ লাখ টাকা।

তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার স্ক্রীমে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নয়টি ডাইনিং টেবিলের দাম ধরা হয়েছিল তিনলাখ ১৫ হাজার টাকা এবং ১১ হাজার ৩৫২ টাকা ব্যয়ে ৪২ টি ডাইনিং চেয়ারের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ টাকা।মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আস্থা ভাজন হাসান এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল।টেবিলে গ্লাস দেওয়ার কথা থাকলেও না দিয়ে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে চুড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাসান বলেন,কাজ যেভাবে ধরাছিল সেভাবেই করা হয়েছে।কাজ শেষ করে আমি আট লাখ পাঁচ হাজার টাকার বিলও পেয়েছি।

তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো:ইদ্রিস আলী খান বলেন,অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।প্রাক্কলন যেভাবে আছে, সেভাবে কাজ শেষ করা হয়েছে।

টেবিল চেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ধরার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, সেই কাজের প্রাক্কলন কোড অনুযায়ী টেবিলের মুল্য ৬৮ হাজার টাকা।আমরা তো এতো টাকা দেইনি।আপনারা বার বার আমার কাছে আসেন, আমি কি করব।প্রকল্প দেওয়াটা আমার কাজ, বাস্তবায়ন করবে প্রকৌশল অফিস।

এমএসএম / এমএসএম

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন

রাঙামাটিতে জনজীবন স্বাভাবিক

বালিয়াকান্দিতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা

আধাঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ চন্দনাইশে বাসের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত