রাণীনগরে নারীদের নিপূন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি
নওগাঁর রাণীনগরে গ্রামের নারীদের আয়ের উৎস কুমড়ো বড়ি তৈরিতে। শীতের মৌসুমে ঐতিহ্যবাহীএই খাদ্যদ্রব্যের বানিজ্যিক ভাবে কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে নওগাঁর রাণীনগরে গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গ্রামের নারীরা। কুমড়ো বড়ির ব্যবসা লাভ জনক হওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ।আশ্বিন মাসের শেষ কার্তিক মাসের শুরুতে গ্রামের মহিলাদের বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামের নারীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটানা চলে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজ।তার পর রোদে শুকিয়ে মনকে মন বাজার জাত করা হচ্ছে । কুমড়ো বড়ি তৈরি কারীগরা বলছেন এবছর বানিজ্যিক ভাবে বড়ি তৈরি করে স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বাহিরেও এই রাণীনগরের কুমড়ো বড়ির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । গত বছরের তুলনায় এবছরে কুমড়ো বড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়ি তৈরিতে হিম সিম খেতে হচ্ছে । রাণীনগরের কুমড়ো বড়ি মানে স্বাদে ভালো হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছরে এই মৌসুমে কুমড়ো বড়ির দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কুমড়ো বড়ি তৈরি কারিগররা জানান। তবে বড়ি তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় লাভের পরিমান কম হলেও এসব বড়ির চাহিদা বেশি থাকায় লাভের পরিমান কম হলেও বেশি বিক্রিতে তা পুষিয়ে যাচ্ছে। আকাশ পরিস্কার থাকায় সারাদিন রোদে বড়ি শুখাতে বিলম্বনা পোহাতে হচ্ছে না। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু পরিবারের সদস্যরা সংসারের বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে নারীদের পাশাপাশি -পুরুষেরাও মিলে মিশে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ঝুকছেন । কুমড়ো বড়ি তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা বলছেন সরকারি ভাবে সহযোগীতা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষন পেলে এই কুমড়ো বড়ি তৈরি ও ব্যবসা প্রসার এবং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব । কুমরো বড়ি তৈরি হিসাবে যে-সব উপকরণ লাগে তাহলো মাশ কালাইয়ের ডাল ও চালের গুড়ো মিশ্রণ করে ভিজিয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে নিপূন হাতে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুমড়ো বড়ি, টিনের চালের উপর কিংবা বাঁশের চাটার মাচার উপর দিয়ে রোদে শুকানো হয়। আগের দিনে মাশ কালাইয়ের ডাল ও চালের গুড়ো মেয়েরা শিল পাটায় রাত ভর পিষিয়ে তা সারা দিন রোদ্রে শুকানোর পর কুমড়ো বড়ি তৈরি করতো। এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি আশায় কুমড়ো বড়ি তৈরি করার কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছে। এখন আর রাত ভর শিল-পাটায় পিষতে হয়না উপজেলার সদর ইউনিয়নের খট্রেশ্বর গ্রামের কুমড়া বড়ি ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বর্তমানে কুমড়ো বড়ি তৈরির মূল উপকরণ মাশ কালাইয়ের ডাল ৫০ কেজি ওজনের বস্তা ৬ হাজার ২৫০টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। যা গত বছর ছিলো সাড়ে ৫ হাজার টাকার মতো। এক বস্তা মাশকালাইয়ের ডালে ৩০ কেজি পর্যন্ত কুমড়ো বড়ি তৈরি হয়। যা বিক্রয় করলে অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি লাভ হয়। আমার এখানে ৫জন মহিলা শ্রমিক কাজ করছে। আমাদের কুমড়া বড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রিয় এমনকি দেশের বাহিরেও যাচ্ছে। বর্তমান প্রতি কেজি কুমড়া বড়ি মান ভেদে ৩২০ টাকা থেকে ৪০০টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে ।
Aminur / Aminur
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত