ভূরুঙ্গামারীতে গণমাধ্যমকর্মীর তৎপরতায় এক শিক্ষার্থী ফিরে পেল বই-খাতা আর স্বপ্নের স্কুলজীবন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গণমাধ্যমকর্মীর তৎপরতায় ও উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এ পদক্ষেপে মাধ্যমে কিশোরীটি ফিরে পেয়েছে তার বই-খাতা আর স্বপ্নের স্কুলজীবন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম উত্তর পাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, মইদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে বিয়ের আয়োজন চলছিল গোপনে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় সাংবাদিক ও যুব সংগঠনে একটি প্রতিনিদি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে কিশোরীর মামা ও মা ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এফ কে আশিক, আবু সুফিয়ান পারভেজ, যুব সংগঠক আরিফুল ইসলাম, মিলন দেব বর্মন, শামিম হোসেন, মনির, নুরে আলম সিদ্দিকি শান্ত প্রমূখ।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এফ কে আশিক বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবহিত করি। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় যুব সংগঠনের সদস্যরা সহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারকে বুঝাই, বাল্যবিয়ের কুফল ও আইনগত বিষয়গুলো জানাই। শেষ পর্যন্ত তারা মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
যুব সংগঠক আরিফুল ইসলাম বলেন, সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিক এ ভাবে গিয়ে এলে বাল্যবিবাহের মতো অভিশাপ একদিন সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হবে।
স্থানীয় যুব সংগঠনের সদস্যরা জানান, সাংবাদিক এফ কে আশিকের দ্রুত উদ্যোগের কারণে শিশুটির জীবন বিপথে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তারা ভবিষ্যতেও এ ধরনের অন্যায় রোধে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক এফ কে আশিকের ফোনে আমি জানতে পারি যে, পাথরডুবিতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরীর বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়কে অবহিত করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসন ও যুব সংগঠন গুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলি। পরে সবার সহযোগিতায় বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ। একজন সাংবাদিক সময়মতো সংবাদ না দিলে হয়তো এই বাল্যবিয়েটি সম্পন্ন হয়ে যেত। সমাজের সকল সচেতন মানুষ, বিশেষ করে সাংবাদিকদের এভাবে পাশে থাকলে আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সফল হব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ জন মিত্র বলেন, বাল্যবিবাহ সমাজের জন্য একটি বড় অভিশাপ। আমরা চাই, প্রতিটি কন্যা শিশু নিরাপদ ও স্বপ্নময় শৈশব উপভোগ করুক। কন্যাশিশু যেন তার পরিবার, আত্মীয় স্বজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে বড় হয় সে জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন সবসময় এ ধরনের বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাংবাদিকদের সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
এমএসএম / এমএসএম

আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা মাজহারুল ইসলাম ইমন

সলঙ্গায় কচুরিপানার নিচ থেকে মানুষের পায়ের কঙ্কাল উদ্ধার

পাবিপ্রবি’র শিক্ষকদের জন্য কর্মশালা শুরু

ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

হাটহাজারীতে মানবতার কল্যাণে আমরা সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

চন্দনাইশে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইলা মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী পালিত

পাঁচবিবিতে গভীর রাতে ঝগড়া থামাতে বলায় প্রতিবেশির ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আলোচনা সভায় বেগম সেলিমা রহমান

দাগনভূঞায় ফেনী-৩ উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে দুই হাজারের বেশি রোগীকে সেবা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে গণমাধ্যমকর্মীর তৎপরতায় এক শিক্ষার্থী ফিরে পেল বই-খাতা আর স্বপ্নের স্কুলজীবন

চন্দ্রদ্বীপে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেনের গণসংযোগ
