মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

মাগুরা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং–৩৬৯৮, বিসিএস ব্যাচ–৩৬) এর বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম, গাফিলতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। চার বছর ধরে একই উপজেলায় কর্মরত থেকে পদোন্নতির পর পুনরায় একই পদে যোগদানের পর থেকেই তিনি বেপরোয়া আচরণে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষক ও উদ্যোক্তাদের।
সরকারি গাড়ির ব্যক্তিগত ব্যবহার ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোজাম্মেল হক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার শুরু করেন। এমনকি তার স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বাজার ঘোরা ও ব্যক্তিগত কাজে এই গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কৃষকদের জন্য বরাদ্দ প্রদর্শনী প্রকল্প, জৈব সার প্রদর্শনী ও সাইনবোর্ড স্থাপনের অর্থ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে। অনেক প্রকল্পে মাঠপর্যায়ে কোনো কাজ না করে শুধু কাগজে-কলমে কার্যক্রম দেখানো হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত
এইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাগুরা জেলা উপপরিচালক জনাব তাজুল ইসলাম ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (স্মারক নং–৯৮৯) প্রথম শোকজ নোটিশ জারি করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (স্মারক নং–৯০৫) সরকারি তথ্য (PDS) সঠিকভাবে না দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়। এরপর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (স্মারক নং–১৭০৪) তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে উপপরিচালক তাজুল ইসলাম মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত শেষে ১২০ পৃষ্ঠার বিশদ প্রতিবেদন দাখিল করেন উপপরিচালক তাজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, তোজাম্মেল হককে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তিনি সংশোধন হননি। তার এই গাফিলতির কারণে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে, সরকারি অর্থের অপচয় ঘটছে এবং কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।
অতিরিক্ত পরিচালকের সুপারিশ
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস উক্ত কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, “এই কর্মকর্তা যদি একই স্থানে থাকেন, তাহলে সরকারি অর্থের অপচয়, কৃষি সম্প্রসারণের সুনাম নষ্ট এবং জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে।”
কৃষকদের লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি
এর আগে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আক্কাস খান, উদ্যোক্তা অরূপ কুমার বিশ্বাস, মহাই মিলন, সুমি আক্তারসহ কৃষক ও উদ্যোক্তা উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে ৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ডকুমেন্ট, সংবাদপত্রের কাটিং ও অভিযোগপত্রসহ আবেদন দাখিল করা হয়।
এর পর থেকে অভিযুক্ত কৃষি অফিসার তোজাম্মেল হক অভিযোগকারী কৃষকদের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে জানা যায়। কখনও সাংবাদিকদের মাধ্যমে, কখনও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তিনি কৃষক আক্কাস খানকে হয়রানির চেষ্টা করেছেন। তবে আক্কাস খান বলেন, “সব ধরনের ভয়-ভীতি উপেক্ষা করেই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। হাজার হাজার কৃষকের হক এই অন্যায়ের মধ্যে চাপা পড়েছে — আমরা তা হতে দেব না।”
জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি
১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে মাগুরা জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন আক্কাস খান, নাজমুল হাসান ও মহাই মিলনসহ স্থানীয় কৃষক-উদ্যোক্তারা। স্মারকলিপিতে দুর্নীতিবাজ কৃষি অফিসারকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়।
কৃষকদের ক্ষোভ আন্দোলন স্থানীয় কৃষক ও উদ্যোক্তারা বলেন, “এভাবে যদি দুর্নীতি চলতে থাকে, তাহলে কৃষকরা সরকারি প্রণোদনা ও সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হবে। এতে কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্য ব্যাহত হবে।”
তারা আরও জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বড় ধরনের আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

অযত্ন-অবহেলায় পায়রার নদীতে নষ্ট হচ্ছে সওজের-কোটি টাকার সম্পদ

মিরসরাই নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

পটুয়াখালীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

আত্রাইয়ে ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা উপলক্ষে মেলায় মনোজ্ঞ জাদু পরিবেশনায় মুগ্ধ ভক্ত দর্শনার্থীরা

কাউনিয়ার বিনামূল্যে মিষ্টি কুমড়া, শসা বীজ ও সার বিতরণ

কেশবপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

শীতের আগমনে বাঘায় খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছিরা

জয়পুরহাটে ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে দিনব্যাপী ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী

রাণীনগরে বিসিআইসি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ইন্তেকাল

কুড়িগ্রাম জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি পুনর্গঠন

মানিকগঞ্জে কালিগঙ্গায় বালু উত্তোলনে হুমকিতে ১৪ কোটি টাকার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প

রাঙ্গামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘ভৈল-ঢেওসি’ উৎসব
