ফাঁকা বিছানা
আক্কেলপুরে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুকে মেঝেতে চিকিৎসা
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে নারী-শিশুদের চিকিৎসা পাওয়া কথা থাকলেও স্টাফদের দখলে থাকা ১টি বিছানা ফাঁকা থাকে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪ বছরের এক শিশুর জন্য মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা করাচ্ছেন স্বজনরা এবং চেয়ারে বসে স্যালাইন নিতে দেখা গেছে এক নারী রোগীকে।
গতকাল রোববার রাত ৯টায় ও সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু মিজানুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন তাকে ভর্তি করে। শিশু মিজানুরের দেখাশোনা করছেন তার মা। এছাড়াও অনেক রোগীকে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। বিছানা না পাওয়ায় চেয়ারে বসে স্যালাইন নিতে দেখা গেছে এক নারী রোগীকে। ওই ওয়ার্ডে ১১নং বেড ফাঁকা রেখে সকল বেডে রয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা নারীরা।
নারী ও শিশু ওয়ার্ডের ১১নং বেড সব সময় ফাঁকা থাকে। বেডটিতে বিশ্রাম নেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফরা। এজন্য ওই বেডে কোনো রোগীকে থাকতে দেয়া হয় না- এমনটিই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন। শনিবার রাত ৮টা থেকে ওই বিছানায় শোয়ার জন্য বিছানা গুছিয়ে রাখেন পরিচ্ছন্নকর্মী জাহানারা।
শিশু মিজানুরের মা বলেন, ভর্তির সময় আমাকে বলে কোনো বিছানা ফাঁকা নেই। তাই ছেলেকে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি।
কলেজ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হাবু বলেন, আমার এক আত্মীয়কে স্যালাইন দেয়ার জন্য ওই বেডে নিয়ে গেলে তারা সেখানে বসতে দেয়নি। বলে এটা স্টাফদের জন্য। তাই বাইরে চেয়ারে বসে রোগী স্যালাইন নিচ্ছে।
রোগীদের সাথে বলতে গেলে উঠে আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া জাহানারার আচরণের কথা। ভর্তিকৃত প্রায় সকল রোগীই অভিযোগ করেন তার আচরণের বিষয়ে। প্রায় প্রত্যেকের সাথেই সে খারাপ আচরণ করে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক সেবিকা ও কর্মরতা অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, পরিচ্ছন্নকর্মী আয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেড ও রোগীদের সমস্যার বিষয়ে জানতে গেলে দায়িত্বরত সেবিকা জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।
আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিনের নিকট বিষয়গুলো অবগত করলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
জয়পুরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এসব বিষয়ে জানানো হলে বিষয়গুলো দেখছি বলে তিনি জানান।
এমএসএম / জামান