৮ শত বছরের পুরনো মনপুরা দ্বীপের বিচ্ছিন্ন চরের মানুষের দূর্দশা দেখার মতো কেউ নেই
ভোলা জেলা মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কলাতলী, শামসুদ্দিন চর,ডাল চরের মানুষ একদিকে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ, অন্যদিকে তিন বেলা খাবার যোগাড়ের কষ্ট। এর ওপর অসুখে মেলেনা পথ্য, শিশুদের যাওয়া হয় না স্কুলে।
সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকেই বঞ্চিত থাকছে চর অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ।মাঠ পর্যায়ে সরকারের সব দপ্তরের কার্যক্রম থাকলেও দ্বীপবাসীর কাছে অনেক দপ্তরের নাম অজানা।
ভোলা জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গুলোর মানুষ এভাবেই বেঁচে আছে।
নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানান কার্যক্রম থাকলেও এই দ্বীপগুলোর মানুষের কাছে তার সামান্য পরিমাণও পৌঁছাচ্ছে না। নজরদারির অভাবে এখানে উন্নয়ন সুবিধা পৌঁছাচ্ছে খুবই কম। ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড হিসাবে এখানে যতটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহে গেলে চর গুলোর মানুষের অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়।
দৈনিক সকালের সময় এর কাছে তারা তুলে ধরেন নানা সংকটের বিবরণ। নদীতে মাছ ধরে কিংবা অন্য কোন কাজকর্মে তিনবেলা খাবার যোগাড়টা হয়তো কোনভাবে হচ্ছে, কিন্তু বড় কোন অসুস্থ হলেই তারা বিপাকে পড়েন। কয়েকজন হাতুড়ে ডাক্তারের উপর ভর করে আছে এই চরগুলোর প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু চরের হাতুড়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে না লিখতে অনুরোধ চরবাসীর। কারন এই সকল ডাক্তার ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই চরের বাসিন্দাদের।
কলাতলী কবির বাজারের পল্লী চিকিৎসক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সকালের সময় কে জানান , এখানকার মানুষের সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখেন। আমরা কয়েকজন চরবাসীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারি মাত্র। এর চেয়ে বেশি কিছুই করার নেই। এখানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা খুবই জরুরি। ওয়ার্ড পর্যায়ে যে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকার কথা, তাও এখানে নেই।
চর কলাতলীর বাসিন্দা ইকবাল জানান, ট্রলারে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নদীপথ পেরিয়ে চর থেকে মনপুরার কিনারে যাওয়া যায়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে আরও সাত-আট কিলোমিটার পথ। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। এখানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
চর কলাতলীর বাসিন্দারা চিকিৎসার পরে শিক্ষা সমস্যার ওপর জোর দিলেন। তারা জানালেন, এখানকার বহু ছেলেমেয়ে স্কুলে যায় না। আবার অনেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করতে না করতেই লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা স্কুলে পাঠানোর চেয়ে ছেলেমেয়েদের কাজে পাঠানোকেই বেশি লাভজনক মনে করেন।
চর কলাতলী এসব তথ্যের প্রমাণ মেলে। চরের প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর সবচেয়ে ভালো ছাত্রছাত্রীও বলতে পারলো না দেশের রাজধানীর নাম । সঠিক জবাব দিতে পারেনি আমাদের বিজয় দিবস কবে। এমনকি অনেকে স্কুলের নামটিও ঠিকঠাক বলতে পারলো না। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতামত , বাহিরের লোক দেখে ওরা ভয়ে জবাব দিতে পারেনি।
এমএসএম / এমএসএম
আন্দোলনের মুখে জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২১ নভেম্বর ঘোষণা
চাঁদপুরে সবধরণের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক
আমারা মাঠে আছি জনগণের পাশে, ইনশাআল্লাহ জনগণই বিএনপিকে বিজয়ী করবেঃ শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ
রাজশাহীতে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সুনামগঞ্জে ভুয়া ব্যবসায়ী সেজে কোটি টাকা প্রতারণা: মূলহোতাসহ ৬ জন গ্রেপ্তার
সাটুরিয়ায় নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
সাভারের ছায়াবীথিতে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নাগরপুরে গণঅধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা
রায়গঞ্জে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
রাঙ্গামাটিতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান বিষয়ক ওয়ার্কশপ
৮ শত বছরের পুরনো মনপুরা দ্বীপের বিচ্ছিন্ন চরের মানুষের দূর্দশা দেখার মতো কেউ নেই
মাগুরায় ৩ গ্রামের ৪০জন কৃষকের মধ্যে ব্রি-৮৮ জাতের ধানের বীজ বিতরণ করল শালিকা উপজেলা