ঢাকা রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

বছরের শেষের সাপ্তাহে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে, হোটেল-মোটেল প্রায় পূর্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১-১২-২০২৫ বিকাল ৫:৪১

শীতের আমেজ আর বছরের শেষের ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সমুদ্রসৈকত, মেরিন ড্রাইভ, ইনানীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটন স্পটে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাবণী পয়েন্ট, কলাতলী, সুগন্ধা সৈকত এলাকায় পর্যটকদের ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। কেউ পরিবার নিয়ে সৈকতে সময় কাটাচ্ছেন, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, আবার কেউ সূর্যাস্ত উপভোগে ব্যস্ত। মেরিন ড্রাইভ সড়কজুড়ে পর্যটকবাহী গাড়ির সারি চোখে পড়ার মতো।
পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক ব্যস্ততা। জেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ধারণক্ষমতা ন্যূনতম এক লাখ পর্যটক হলেও বর্তমানে অধিকাংশ হোটেলেই বুকিং প্রায় শেষের পথে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের সভাপতি আবুল কাসেম জানান, ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে ৮০ লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন এবং হোটেল বুকিং দিয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত সময়ের জন্য বেশিরভাগ হোটেলেই আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বছরের শেষের ছুটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পর্যটকের চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি।
পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার রিজিওন টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে এবং সামনে আরও বাড়বে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম সর্বদা মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকত, হোটেল এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিয়মিত টহল ও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পরিবারসহ আসা মোনালিসা নামে এক পর্যটক মোনালিসা জানান, তারা প্রতিবছরই ১৬ ডিসেম্বরের পর কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। তবে এবার কিছুটা আগেভাগেই আসা হয়েছে। ২-৩ দিন অবস্থান করে তারা ফিরে যাবেন বলে জানান।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল থেকে আসা শহিদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আগাম সময়ে এসেও হোটেল বুকিং পেতে তাকে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। কক্সবাজারে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমন সত্যিই কল্পনার বাইরে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পর্যটকের ভিড়ে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পর্যটন পরিবহন, স্যুভেনির দোকান ও সৈকতকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোতে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল-মোটেল জোন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। অনেকে ইতোমধ্যে নতুন বছর উদযাপনের জন্য কক্সবাজারকে বেছে নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে শীতের এই মৌসুমে পর্যটকের ঢলে আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার। নিরাপত্তা, আবাসন ও সেবার মান বজায় থাকলে পর্যটন শিল্পে এ ধারা আরও গতিশীল হবে- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Aminur / Aminur

ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনানাশক প্রয়োগ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোটরসাইকেল চুরি

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, ভোগান্তিতে দুমকীর জনসাধারণ

কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন

বছরের শেষের সাপ্তাহে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে, হোটেল-মোটেল প্রায় পূর্ণ

রায়পুরে অবৈধ ভাবে রায়পুরে অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় অর্থদন্ড

রাবিতে মৎস্য শিক্ষায় উদ্ভাবন বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দালাল ছাড়াই মিলছে ভূমি সেবা, রায়গঞ্জে জনগণের আস্থায় এসিল্যান্ড মাসুদ রানা

দীপু দাসকে হত্যা ও আগুনে পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জ বিআরটিএ যেন ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া!

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে ৪ দিন ব্যাপি আন্তঃ হাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

বারহাট্টা জুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া, জনজরিপে এগিয়ে ডাঃ আনোয়ারুল হক

আত্রাইয়ের শুঁটকি বাজারজাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়