ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

টাঙ্গাইলে ভুল চিকিৎসায় ছিঁড়ে ফেলা হলো প্রসূতির যৌনাঙ্গ


রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল photo রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৩০-৯-২০২১ দুপুর ৪:২৭

টাঙ্গাইল শহরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তারের পরিবর্তে নার্স দিয়ে ডেলিভারি করানোর সময় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই প্রসূতির অবস্থা আরো অবনতি হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সদ্যোজাত শিশুর অবস্থাও আশংকাজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রসূতির স্বামী দেলদুয়ার উপজেলার চিনাখোলা গ্রামের মো. মহসিন মিয়া।

লিখিত অভিযোগে মহসিন মিয়া জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে রাত সাড়ে ৯টায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ডা. আখতার জাহানের অধীনে নার্স হাফিজা ও সেলিনা তত্ত্বাবধানে ছিল। কিন্তু সময় হওয়ার আগেই ওই দুই নার্স জোরপূর্বক তার স্ত্রীর ডেলেভারি করিয়ে এক পুত্রসন্তান প্রসব করে। কিন্তু তাদের কাটাকাটি না করার অনুরোধ জানালেও কেটে তার স্ত্রীর জরায়ু, পায়খানা ও প্রসাবের রাস্তা পুরোটাই এক করে সেলাই করে। পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর ডা. আখতার জাহানকে না দেখিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার শিল্পী ১ হাজার ৩০০ টাকা নিয়ে তাদের ছুটি দেন।

তিনি ‍আরো জানান, ৫ দিন বাড়িতে থাকার পর ২৫ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীর প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে পায়খানা বের হতে থাকে। পরে ওই দিন পুনরায় তাকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ডাক্তার আখতার জাহানকে দেখাতে চাইলে নার্স হাফিজা ও সেলিনা দেখাতে বাধা দেয়। পরে ভিজিট দিয়ে আখতার জাহানের ব্যক্তিগত চেম্বারে দেখা করেন। আখতার জাহানের পরামর্শ অনুযায়ী আরো চার দিন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি রাখা হয়। ডাক্তার আখতার জাহানের অনুমতি ছাড়া ওই দুই নার্স তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে হাত দিয়ে তার যৌনাঙ্গ ছি‍ঁড়ে ফেলে। এরপর তার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এরপর সেলাই করে দেয়। বিষয়টি ডা. আখতার জাহানকে জানালে তিনি স্বীকার করেন যে, নার্সরা ভুল করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় যেতে বলেন। তার স্ত্রীর অবস্থা ভালো না হওয়ায় তারা বাসায় যেতে চান না। পরে ডাক্তার আখতার জাহানের কাছ থেকে রেফার্ড নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তেমন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তার স্ত্রীর অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যা খাবার খায় তা যৌনাঙ্গ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে দিন দিন তার স্ত্রীর অবস্থা আরো অবনতি হচ্ছে। তার শিশুটির অবস্থাও ভালো না।

মহসিন মিয়া জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তার সরকারি বেতন নিলেও তেমন দায়িত্ব পালন করেন না। ডা. আখতার জাহান ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে খুবই ব্যস্ত। তিনি নার্স দিয়ে তার কাজ করান। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ। সরকারি হাসপাতাল হলেও বাইরে থেকে যাবতীয় ওষুধ কিনতে হয়। এর সঠিক বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ডাক্তার আখতার জাহান জানান, নরমাল ডেলিভারি নার্সরাই সাধারণত করিয়ে থাকে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া আছে। আমি শুধু তত্ত্বাবধান করে থাকি। কিন্তু তাছলিমা আক্তারের যে অবস্থা তাকে তিন মাসের আগে কোনো চিকিৎসা দেয়া যাবে না। তার অবস্থা যতই অবনতি হোক না কেন তিন মাসে তাকে কোনো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ডাক্তার আখতার জাহান অনুমোদনহীন একটি ক্লিনিক পরিচালনা করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে অনকলে অপারেশন করেন। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসা রোগীদের ফুসলে নিজের ক্লিনিকে নিয়ে অপারেশন করিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করে থাকেন। ইতিপূর্বে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কৌশলে ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমএসএম / জামান

যশোরে ৮ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক-৩

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সড়ক খানাখন্দে ভরে থাকায় দুর্ভোগে পথচারী,যানবাহনের চালকরা

ত্রিশালে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সচিবের মতবিনিময় সভা

বার বার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ: বিএনপি নেতা বাচ্চু

তারাগঞ্জে গাঁজাসহ নারী আটক

দুমকীতে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক,ক্ষোভে সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ নেতার পদত্যাগ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ

জয়পুরহাট ০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৬, জামায়াতের ১জন

কিসমত উল্লাহ বালাজান কৃষি ও কারিগড়ি ইন্সটিটিউট এর সংবাদ সম্মেলন

বোদায় পুকুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আশুলিয়ায় ঋণের তলে বহুতল ভবন, লাগামহীন ব্যাংক সুদে বিপর্যস্ত মালিকেরা

রাঙ্গুনিয়ার আইন শৃঙ্খলার রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ওসি শিফাতকে সন্মানা