শ্রীনগরের বাঘড়া ও ভাগ্যকুলে প্রস্তুত ৩ শতাধিক ইলিশের নৌকা

‘মা ইলিশ রক্ষা পেলে, বার মাস ইলিশ মিলে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হলেও অসাধু জেলে সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠেছে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য। এরই মধ্যে নদীতে নামতে দিন-রাত সমানতালে নৌকা, ট্রলার, সি-বোট, জাল ও জনবল গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৌসুমি জেলেরা। নদীতে নামতে এসব এলাকায় তিন শতাধিক বিভিন্ন নৌকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। একদিকে আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি, অপরদিকে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের জন্য নদীতে নামতে অসাধু জেলেদের সার্বিক প্রস্তুতি। এ যেন চোর-পুলিশ খেলার মতো অবস্থা। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ও ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মা নদীতীরবর্তী বিভিন্ন স্থানের চিত্র দেখে এমনটাই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঘড়া ও ভাগ্যকুলে পদ্মা নদীর তীর ও চরঘেঁষা লোকালয়ের বিভিন্ন স্থানে কাঠের শত শত (জেলে) নৌকা মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন নৌকাও তৈরী করা হচ্ছে। মেরামত করাসহ এসব নৌকা বা ট্রলারে লাগানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শ্যালো ইঞ্জিন। এ সময় বাঘড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী ভাগ্যকুল ও বাঘড়ায় ছবি তুলতেই অসাধু ব্যক্তিরা সটকে পড়ে। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে তারা কোন প্রকার মুখ খোলতে রাজি হননি। এ সিন্ডিকেটের সাথে তালিকাভুক্ত জেলে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য মিলছে।
এলাকাবাসী জানায়, এখানকার প্রায় ৩ শতাধিক নৌকা নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও এই সময়টায় সুযোগ বুঝে এসব নৌকা পদ্মায় নামানো হবে ইলিশ ধরতে। প্রতিটি নৌকায় ইলিশ ধরার কাজে ৫ থেকে ১০ জন লোকের প্রয়োজন হয়। এসব জনবল সংগ্রহের জন্য জেলেরা এলাকায় গোপনে দাদন দিচ্ছে।
সূত্রমতে, উপজেলার বিভিন্ন খালে বিলে গত কয়েকদিনে বেশকিছু নিষিদ্ধ ভেসাল উচ্ছেদ ও জরিমানা করার পাশাপাশি ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিন প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধে ও অভিযানের লক্ষ্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এরই মধ্যে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
জানা গেছে, বাঘড়ায় তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৯৫ জন ও ভাগ্যকুলে এর সংখ্যা ৩৩৯ জন। এসব জেলেকে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে। তার পরেও বছরের এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য এলাকা ভিক্তিক মৌসুমি জেলের আবির্ভাব ঘটে এখানে।
বাঘড়া ও ভাগ্যকুল এলাকায় জেলেরা পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার প্রস্তুতির বিষয়ে শ্রীনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেছে বছর জানতে পেরে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বছর বিষয়টি এখনও আমার জানা নেই। ৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষেধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। এরই মধ্যে বরফ কল মালিকদের বরফ সরবরাহ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে অবশ্যই যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে নদীতে সার্বক্ষনিক অভিযান চলবে। তার পরেও আইন অমান্য করে নদীতে ইলিশ ধরার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
এমএসএম / জামান

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে নদীর বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

নরসিংদীতে সম্মানজনক বেতন ও এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
