এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন

করোনা পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে উভয় পরীক্ষার সময় ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশিকাটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এ এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষর করেছেন গত ৬ অক্টোবর।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক দফায় বন্ধ থাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সময়সীমা, নম্বর ও প্রশ্ন পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। রচনামূলক পরীক্ষা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে এবং নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা ১৫ মিনিটে সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, কারিগরিতে সব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি’র বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ে ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ নম্বর ও এমসিকিউ বা নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় থাকবে ১২ নম্বর। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৫ নম্বরের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা দিবে। এর মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে রচনামূলক ও ১৫ নম্বর থাকবে নৈর্ব্যক্তিক। রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিকের নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরকে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা বোর্ড থেকে দেয়া নির্দেশনায় এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞানের রচনামূলক অংশে ৩২ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ এবং এমসিকিউ অংশে ১২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞান বিভাগের রচনামূলক অংশে আটটি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে যে কোনও দু’টির উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। নম্বর থাকবে ১০ করে ২০ নম্বর, নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, এরমধ্যে ১২টির উত্তর দিতে হবে। এখানে নম্বর থাকবে ১২। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। আবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২০ নম্বরকে ৫০ ও নৈর্ব্যক্তিকের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানায়, এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যক্তিক বা এমসিকিউতে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকবে, উত্তর দিতে হবে যে কোনও ৩টির। প্রতি প্রশ্নে ১০ নম্বর থাকবে। নৈর্ব্যক্তিকে থাকবে ৩০টি প্রশ্ন, উত্তর দিতে হবে ১৫টির। প্রতি প্রশ্নের উত্তরের জন্য মান থাকবে ১ নম্বর করে মোট ১৫।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বরকে ৭০ ও নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের (রচনামূলক ও এমসিকিউ) পরীক্ষার সময় দেড়ঘণ্টা। এরমধ্যে রচনামূলক ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ও এমসিকিউ ১৫ মিনিট।
এসএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোট বুক) নম্বর ২৫। নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরগুলো ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (মাধ্যমিক) জমা দিবে।
আবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) নম্বর ২৫ (ক্রীড়া {তত্ত্বীয়}, লঘু সংগীত, উচ্চাঙ্গ সংগীত প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া)। প্রতিষ্ঠান নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরসমূহ ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (উচ্চ মাধ্যমিক) জমা দিবে।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকে ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও এমসিকিউ এর ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে, ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও এমসিকিউয়ের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও এমসিকিউয়ের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। লঘু সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের মোট ২০ নম্বরকে ৪০ নম্বরে রূপান্তর করে ওই বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
জামান / জামান

'ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড' শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপহার সামগ্রী দিল জবি শিবির

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু
