সুতার বাজারে আগুন
রূপগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শতাধীক শিল্প কারখানা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লোকশান গুনছেন অনেকেই । কেউবা আবার রয়েছেন দ্বিধা–ধন্ধে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিল্প কারখানার মালিকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাপড় তৈরী করতে কারখানার শ্রমীকদের মুজুরী, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ দিয়ে লাভ থাকছে না মিল মালিকদের। লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন শিল্প কারখানার মালিকরা। এর কারণ জানতে চাইলে মিল কারখানার মালিকরা বলেন,দিনদিন সুতার দাম বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছে না কাপরের দাম, প্রতি গজে ২-৩ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদনকারী কাপড়। সুতার দাম অনুযায়ী দাম পাচ্ছেননা মিল মালিগগণ।
রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব, ভূলতা, গোলাকান্দইল, বরপা, কাঞ্চন, বিরাব, রূপসী, আতলাপুরসহ এসব এলাকার অনেক মিল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। আবার অনেক শিল্প কারখানার মালিকদের দেখা গেছে যে, একজনের ২০ টা মেশিন আছে সে ১৫ টাই বন্ধ করে ৫ টা চালাচ্ছে। অনেকেই বলেছে মেশিনে সেট করা তানা ( সুতার রুলার) শেষ হলে কারখানা বন্ধ করে দিবে। এতে করে বেকার হচ্ছে মিল কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক। পাইকারি সুতা ব্যাবসায়ী শাহীন ট্রেডার্সের মালিক শাহীন মিয়ার কাছে সুতার দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক ভাবে তুলার দাম বেড়েছে তাই সুতার দাম বেশি। স্থিতিশীল বা আরো দাম বৃদ্ধি পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক আবুল হাসেম বলেন,দেশের যে পরিস্থিতি এ পরিস্থিতিতে কাপড়ের উৎপাদন অনুযায়ী কাস্টমারের চাহিদা কম থাকায় গ্যারে ( সুতা থেকে তৈরী) কাপড়ের দাম কম। বেচা বিক্রি কম থাকায় কাপড় ব্যাবসায়ীরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে জানান। সুতার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় টেক্সটাই বন্ধ হওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়া টেক্সটাইল কারখানার তাঁতীরা ( অপারেটার)শাহীদুল,মাসুদ,আজিজুল, তারেক, মো.ইমন মিয়া বলেন, আমরা এই কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতাম এখন টেক্সটাইল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বেকার হয়ে পড়েছি আমরা এখন কি করে সংসার চালাবো। এ বিষয় নিয়ে কথা হয় হাটাব টেকপাড়া এলাকার মিল মালিক শাহজাহান টেক্সটাইল,হাবিবা টেক্সটাইল,রিনা টেক্সটাইল, সিংগাপুর টেক্সটাইলের মালিক হারূন, ফরিদ, শামিম,মোয়াল্লেন, হাফেজ, বিল্লালসহ আরো অনেকের সাথে, তারা দৈনিক সকালের সময়কে জানান, সুতার দাম পাগলা ঘোড়ার মত ছুটছে দেখা গেছে সকালে এক দাম আবার বিকেলে আরেক দাম পাউন্ড প্রতি ৩০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তৈরী করা কাপড়ের সে অনুযায়ী চাহিদা নেই, আবার করোনার দোহাইতো আছেই তাই বাধ্য হয়েই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আরো বলেন, ব্যাবসায় লোকসান দিতে দিতে আমাদের পূজিই শেষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের শিল্প কারখানা মালিকদের প্রতি নজর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি নজর দেন তাহলে আমরা ব্যাবসায়ীরা আবার ঘুরে দাড়াঁতে সক্ষম হবো।
এমএসএম / এমএসএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগনের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করছেঃ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
“অদম্য নারী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন সদস্যকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেন্ডস এন্ড ফ্যামেলী সমবায় সমিতির সংবর্ধনা
নড়াইলে পাতিয়ার খালে বিষ দিয়ে মাছ ধ্বংসের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল
নড়াইল ১ আসনে ইসলামি আন্দোলনের গন সমাবেশে প্রসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী
উল্লাপাড়া রামকৃষ্ণপুরে সচিব-প্রশাসকের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ
চাঁদপুরে কাভার্ড ভ্যান চাপায় যুবক নিহত, আহত ২
গাইড বই না কিনলে ফেল করানোর হুমকি
চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদকের বাবার ইন্তেকাল, সাংবাদিক সংগঠনের শোক
মাদকবিরোধী অভিযানে কাউনিয়া থানার সাফল্য: ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন আটক
সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন
তেঁতুলিয়ায় আজও তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে
৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার
Link Copied