ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

সুতার বাজারে আগুন

রূপগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শতাধীক শিল্প কারখানা


রূপগঞ্জ প্রতিনিধি photo রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯-১০-২০২১ দুপুর ৪:৫২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।  লোকশান গুনছেন অনেকেই । কেউবা আবার রয়েছেন দ্বিধা–ধন্ধে  হিমশিম খেতে হচ্ছে শিল্প কারখানার মালিকদের। 
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাপড় তৈরী করতে কারখানার শ্রমীকদের মুজুরী, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ দিয়ে লাভ থাকছে না মিল মালিকদের। লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন শিল্প কারখানার মালিকরা। এর কারণ জানতে চাইলে মিল কারখানার মালিকরা বলেন,দিনদিন সুতার দাম বৃদ্ধি পেলেও  বাড়ছে না কাপরের দাম, প্রতি গজে ২-৩ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদনকারী কাপড়। সুতার দাম অনুযায়ী দাম পাচ্ছেননা মিল মালিগগণ। 
 
রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব,  ভূলতা, গোলাকান্দইল,  বরপা, কাঞ্চন, বিরাব,  রূপসী,  আতলাপুরসহ এসব এলাকার অনেক মিল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। আবার অনেক শিল্প কারখানার মালিকদের দেখা গেছে যে, একজনের  ২০ টা মেশিন আছে সে ১৫ টাই বন্ধ করে ৫ টা  চালাচ্ছে। অনেকেই বলেছে মেশিনে সেট করা  তানা ( সুতার রুলার)  শেষ হলে কারখানা বন্ধ করে দিবে। এতে করে বেকার হচ্ছে মিল কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক। পাইকারি  সুতা ব্যাবসায়ী শাহীন ট্রেডার্সের মালিক শাহীন মিয়ার কাছে  সুতার দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক ভাবে তুলার দাম বেড়েছে তাই সুতার দাম বেশি।   স্থিতিশীল বা আরো দাম বৃদ্ধি পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক আবুল হাসেম বলেন,দেশের যে পরিস্থিতি এ পরিস্থিতিতে কাপড়ের উৎপাদন অনুযায়ী কাস্টমারের চাহিদা কম থাকায় গ্যারে ( সুতা থেকে তৈরী) কাপড়ের দাম কম। বেচা বিক্রি কম থাকায় কাপড় ব্যাবসায়ীরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে জানান। সুতার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় টেক্সটাই বন্ধ হওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়া টেক্সটাইল কারখানার তাঁতীরা ( অপারেটার)শাহীদুল,মাসুদ,আজিজুল, তারেক, মো.ইমন মিয়া বলেন, আমরা এই কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতাম এখন টেক্সটাইল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বেকার হয়ে পড়েছি আমরা এখন কি করে সংসার চালাবো। এ বিষয় নিয়ে কথা হয় হাটাব টেকপাড়া এলাকার মিল মালিক শাহজাহান টেক্সটাইল,হাবিবা টেক্সটাইল,রিনা টেক্সটাইল, সিংগাপুর টেক্সটাইলের মালিক হারূন, ফরিদ, শামিম,মোয়াল্লেন, হাফেজ,  বিল্লালসহ আরো অনেকের সাথে, তারা  দৈনিক সকালের সময়কে জানান, সুতার দাম পাগলা ঘোড়ার মত ছুটছে দেখা গেছে সকালে এক দাম আবার বিকেলে আরেক দাম পাউন্ড প্রতি ৩০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তৈরী করা কাপড়ের সে অনুযায়ী চাহিদা নেই, আবার করোনার দোহাইতো আছেই তাই বাধ্য হয়েই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আরো বলেন, ব্যাবসায় লোকসান দিতে দিতে আমাদের পূজিই শেষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের শিল্প কারখানা মালিকদের প্রতি নজর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  যদি নজর দেন তাহলে আমরা ব্যাবসায়ীরা আবার ঘুরে দাড়াঁতে সক্ষম হবো।

এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত