ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

একাত্তরের গণবাহিনী


মোকছেদুল ইসলাম, পাটগ্রাম photo মোকছেদুল ইসলাম, পাটগ্রাম
প্রকাশিত: ১৯-১০-২০২১ দুপুর ৪:৫৯
একাত্তরের গণবাহিনী
কবি গোলাম মতিন রুমি
 
মুক্ত ‘ক’ অঞ্চল ছিল পাটগ্রাম উনিশ শ’ একাত্তর সালে
 এলাকাটি ছিল যেন মগের মুল্লুক মুক্তিযুদ্ধ কালে। 
বাংলাদেশ-পাকিস্তান কোন প্রশাসনের ছিলনা নিয়ন্ত্রণ,
জান-মালের তাই নিরাপত্তা নিয়ে ছিল ভীত জনগণ।
বিপদ আতঙ্কে সাধারণ মানুষ কেটে ছিল নয় মাস,
সেই অসহায় জনতার সুরক্ষায় গড়ে গণবাহিনী ইতিহাস।
চুরি-ডাকাতি-খুন, নারী ধর্ষন, লুটপাট-রাহাজানি 
করে প্রতিরোধ, গোটা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে পুরা আনি ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা রাতে আছিল পাহারারত, 
সন্ত্রাসী-ডাকাত সংঘর্ষে জানি হয় অনেকে আহত।
শঙ্কিত জনারে দেয় সান্ত্বনা, গড়ে-সাহসিক মনোবল,
পাটগ্রামবাসীর ছিল ওই দুর্দিনের সাথী গণবাহিনী সম্বল।
বাংকার খনন মুক্তিযুদ্ধের রসদ জোগান আর
 মুক্তি-মিত্র বাহিনীর সহায়তা দানে ছিল ওরা তৎপর।
রণাঙ্গনে ওই দুই বাহিনীর সর্বদা পাশে জাগি 
জোগায় সাহস শক্তি মনোবল কাজ করে ভাগাভাগি।
স্বাধীনতা পরবর্তী মুক্তি বাহিনীর জীবন মান উন্নীত হল,  
একাত্তরের গণবাহিনী বিরল অবদানের স্বীকৃতি নাহি পেল। 
পরিশেষে তাই অবহেলিত এবার হয়েছে দারস্থ তাঁর
যিনি মানবতার জননী বঞ্চিত জনের করে প্রদান অধিকার। 
সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করে 
জানাইছে আবেদন রাষ্ট্র সহায়তা মূল্যায়নের তরে।

এমএসএম / এমএসএম