ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

শিকার - গোধূলি


ফারুক সৈয়দ, ডেনমার্ক  photo ফারুক সৈয়দ, ডেনমার্ক
প্রকাশিত: ২২-১০-২০২১ দুপুর ৪:৪১
গোধূলির তৃষ্ণা নিয়ে সারা দিন শেষে মিহির
প্রভাকর যেন এখনই নাইবে কাচমতির নীলে!
 
সূর্যগ্রহণ-আনন্দে আমন্ত্রিত অন্যেরা সবাই ভীষন ব্যাকুল।
তারারা ঘুম ছেড়ে উঠে চাঁদের কণাকে দিয়েছে অতুল
আয়োজনে, যেন চন্দ্রাবলীর পূর্বিতা মধুচন্দ্রিমায়।
জানেনা ওরা কেউ শিকারীরা আছে অপেক্ষায়।
   
ঘুঘুরা সব ব্যস্ত জলপাইয়ের অবুঝ পালক ঘসে
মরাল মরালী এখন ঘর-কুড়ের পালঙ্গে বসে।
মন-উজার গানের কারণে কপোত খুঁজে তার জায়া।
ধূসর পায়ড়ারা স্বপ্ন লাল-চোখে এখনো বেহায়া।
বাবুই গেছে চলে দেশ ছেড়ে, শূন্যে হাহাকার তার
নগ্ন তালে ঝুলানো মঞ্চ, কোথায় সেই অভিসার?
টিয়াপাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে ফিরে চলে গেছে
অনেক আগেই, কামরাঙার সবুজের শেষে।
বঁইচি আর বেতফুলের শুধু আস্বাদন খুঁজে,
চড়ুয়েরা লটকন পেয়ারার ডালে আছে মাথা গুঁজে।
শালিকেরা অবিরাম ফলসার রঙে মিশে যায়,
হলুদ পীতঙ্গ ঠোঁটে অবিশ্রাম ডুমুরের গান গায়।
জোনাকি জ্বলে শতাব্দীর অনুদারে মাতাল মনের কানে,
কেনারাম গীত শুনে বার বার বিবাসিনীর টানে।
 
বুনোহাঁসেরা ফিরছে এখনি পঞ্চায়েত শেষে,
নলের ঘরে হরিদ্রা-পিত বাচ্চারা অপেক্ষায় আছে।
 
ঠাস!
একটা অদ্ভুত শব্দ!
ঠাস - আবারো একটা শব্দ!
দুই – তিন – চার - অসংখ্য – অপার।
 
পরে।
আরো পরে!
দূরে আরো দূরে, অনেক পিছনে রাখা
মাটিতে কালো চৌরস দাগ জীপের চাকা।
পাশে রাখা নির্বিঘ্ন ঘুমে বুনোহাঁসেরা
বাচাল চালুকী হাসে উচ্চস্বরে শিকারীরা।
 
পুরোনো কাহিনী শুরু হবে আবার কিছু পরেই।

এমএসএম / এমএসএম