পুলিশ ও র্যাবের পৃথক অভিযানে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হত্যার ৮ আসামি আটক

কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পৃথক দুই প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এবং মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
পৃথক দুই প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ ও র্যাব জানায়, ব্যবসায়ী নেতা নাজমুলকে ২-৩ মাস আগে থেকেই হত্যার জন্য নজরদারি করে আসছিল আসামিরা। নিহত নাজমুলসহ কয়েকজন ২০২০ সালে প্রতিপক্ষ জুয়েলের ওপর হামলা করে তাকে পঙ্গু করে দেয়। তাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত সোমবার রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তার কাছ থেকে জব্দ হয় হত্যায় ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি চাইনিজ কুড়াল। সেই সাথে একই দিন ভোরে হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ গাড়িচালক আমিরকে মৌলভীবাজার সদর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামি বাবর মিয়াসহ ৪ জনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সিলেটে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার প্রধান আসামী তফাজ্জুল আলী (৩৫) এবং তার সহযোগী খালেদ মিয়াকে (৫৩) ঢাকার কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুবাই যাওয়ার এমিরেটস এয়ারলাইন্সের টিকেট ও তফাজ্জুল আলীর পাসপোর্টসহ মোবাইল, সিম, দেশি-বিদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তফাজ্জুল আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং সে জানিয়েছে ২-৩ মাস আগে থেকেই নাজমুলকে হত্যার জন্য নজরদারি করা হয়।
নাজমুল হত্যার একটি সিসিটিভি ফুটেজ মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে করে এসে ৯-১০ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে নিজের অফিসের সামনে এসে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এই সুযোগে নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯-১০ জন। সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল। গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে গুরুতর আহত নাজমুলের মৃত্যু হয় সিলেটের একটি হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টার দিকে। মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে নাজমুল জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন- স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল। এ সময় তিনি দাবি করেন, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে লড়তে চাওয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছে। মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয়, সে আহ্বানও জানিয়েছিলেন নাজমুল।
এ ঘটনায় নাজমুলের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই শামছুল হক সোমবার তোফাজ্জলকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, মামলার প্রধান আসামি তোফাজ্জলকে আটক করা হলেও প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে জুয়েল মূল পরিকল্পনাকারী। এলাকার আধিপত্য ও বালুমহাল নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে খুন হয়েছেন নাজমুল। পুলিশ ও র্যাবের পৃথক অভিযানে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রধান আসামি তফাজ্জুল আলী হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নাজমুলকে হত্যা করতে তিন মাস আগে থেকে তারা পরিকল্পনা করছিল।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied