ঢাকা বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

কালের বিবর্তনে যান্ত্রিক যুগে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্প


ফুলছড়ি প্রতিনিধি photo ফুলছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮-১১-২০২১ দুপুর ৩:১৬
কালের বিবর্তনে যান্ত্রিক যুগে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্প। বর্তমানে বাঁশের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ফলে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ফুলছড়ির বাগুড়িয়া গ্রামের এই শিল্প। এক সময় ফুলছড়ির ঘোলদহ বাগুড়িয়া, পাকারমাথায়সহ বেশকিছু জায়গায় এ শিল্পেরর তৈরি সব সামগ্রী গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন চাষাবাদ, কৃষি ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও বাসাবাড়িসহ প্রায় সবখানেই চোখে পড়ত নানা রকমের বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে এসব চিরচেনা চিত্র।
 
মাঝেমধ্যে গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ শিল্পীদের তৈরি টোপা হোঁচা দারকী, কুলা, চাটাই, খলুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, মই, ঝাড়নি, চালন ইত্যাদি চোখে পড়লেও নেই আগের মতো আর চাহিদা। বর্তমানে প্লাস্টিক ও বিভিন্ন ধরনের কাঠের বোর্ড ও অন্যান্য সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ায় এসব কুটিরশিল্পের চাহিদা এখন তলানিতে। এছাড়াও দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জনবসতি গড়ে ওঠায় বিভিন্ন জাতের বাঁশের চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের ঘাটতির কারণেও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে এসব কুটিরশিল্প। 
 
উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাঁশশিল্প জাহাঙ্গীর মিয়া বলছেন, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে চাষ হতো বাঁশ, যা আমাদের প‍ূর্বপুরুষরা এ বাঁশ দিয়ে  তৈরি  করত নিত্যদিনের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ও সৌখিন আসবাবপত্র। আর এসব আসবাবপত্র বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা। তাই আমরাও পেশার সঙ্গে জড়িত।
 
রজত মিয়া নামে এক বাঁশের কারিগর জানান, আমরা বাপ-দাদার সময় থেকে এই কাজ করে আসছি। কদর না থাকলেও টুকিটাকি কাজ করি, একবারে তো ছেড়ে দিতে পারব না! তবে বর্তমানে বাঁশের কাজ আর নেই। বাঁশের কিছু জিনিসপত্র বানাই। আর এগুলো বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতা সংকটে পড়তে হয়। অনেক সময় গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র একটু বেশি বিক্রি হয়। কাঁচামাল বেশি দামে কিনলেও তৈরিকৃত জিনিস কম দামে বেচতে হয়। বাঁশের এই তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় একদিকে আমরাও থুব সংকটে পড়েছি।
 
এ বিষয়ে কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার এই ইউনিয়নের সৈয়দপুর, ঘোলদহ পাকার মাথা, কেতকীর হাটসহ এই শিল্পটি প্রচুর চালু। কিন্তু তা এখন বিলুপ্তির পথে। এই শিল্পে বাঁচিয়ে রাখতে আমি এই ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বাঁশশিল্পের তৈরি একটি মেলা আয়োজন করে কারিগরদের মাঝে উৎসাহ প্রদানসহ নতুন প্রজন্মকে এই শিল্প সম্পর্কে উজ্জীবিত করব। এছাড়াও বিআরডিবিসহ বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণদানের মাধ্যমে বাঁশশিল্পের কারিগরদের আর্থিক সহোযোগিতা করার চেষ্টা করব।

এমএসএম / জামান

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত