৫০ বছরে মুছে গেল চট্টগ্রামের ৪৮ খালের চিহ্ন

১৯৬৯ সালে চট্টগ্রামের জন্য ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে আমেরিকান জন আর স্নেল অ্যান্ড কোম্পানি। তারা চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ৭০টি খালের জরিপ করেছিল। স্নেল কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে ৩৪টি খালের সংযোগ দেখেছিলেন। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রাম ওয়াসার জরিপে দেখা যাচ্ছে খাল রয়েছে ২২টি। এরমধ্যে তারা চাক্তাই খালের দৈর্ঘ্য ৩৪ হাজার ৫০ ফুট পেয়েছিল। এখন ওই খালের অবস্থা তখনকার মতো কি আছে? ওটা কারো না কারো পেটে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ রোধ হয়ে অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটির কাজ চলছে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটির। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয় প্রকল্পের মেয়াদ। এক দফা মেয়াদ বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ না হওয়ায় আরো দুই বছর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। ফলে সহসা মুক্তি পাচ্ছে না জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে নগরবাসী।
মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৬টি খাল এবং এসব খালে সংযুক্ত আরো ২০টি খালসহ মোট ৩৬টি খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন। ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ৪৮টি পিসি গার্ডার ব্রিজ প্রতিস্থাপন, ছয়টি আরসিসি কালভার্ট প্রতিস্থাপন, পাঁচটি টাইডাল রেগুলেটর বা স্লুইস গেইট, ১২টি পাম্প হাউজ স্থাপন, ৪২টি সিল্টট্রেপ স্থাপন এবং ২০০টি ক্রস ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে তার ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্ষায় যে জলাবদ্ধতা হয় তা এ বছর কমে আসবে বলে আশা করছি।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টির সময় আগ্রবাদের মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরে পানি ঢুকেছে হাঁটু পরিমাণ। চিকিৎসা নেবে কী! মানুষ নিজেই নর্দমার পানির সংস্পর্শে এসে সেখানে অসুস্থ হচ্ছে। আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় লোকজন সড়ক পথে নৌকা নিয়ে অফিস ও কর্মক্ষেত্রে যেতে দেখা গেছে। মুরাদপুর, বহদ্দহাট ও বাকলিয়ার অধিকাংশ এলাকা ছিল পানির নিচে। চোখে না দেখলে এ দৃশ্য কি মানবেতর বুঝা দায়। দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জে পানিতে টয়টম্বুর থাকে বর্ষা ও আমবশ্যার সময়। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তা-ঘাট ও দোকানপাট। অথচ কী অসাধারণ একটি শহর চট্টগ্রাম। বলা হতো প্রাচ্যের রানি। পাহাড়, সমতল, নদী, সমুদ্র মিলে একাকার। ওই শহরে এখন একদিকে জোয়ারের পানি, আরেকদিকে বৃষ্টির পানি- দুটি মিলে নগরজীবনের ত্রাহি অবস্থা।
তবে , চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মেগা প্রকল্পের জন্য ব্রিজ, কালভার্ড ও স্লুই গেটের মুখে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে ওগুলো বৃষ্টির সময় খুলে না দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একই কথা বলেছেন একাধিক নগর পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলছেন, খালে বাঁধ ও স্লুইসগেটের (রেগুলেটর) কাজ শেষ না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বাঁধের কারণে বৃষ্টি হলে খালে পানি নামতে পারে না। আর জোয়ারের কারণে সাগরের পানি যা প্রবেশ করে তাও বন্ধ করতে পারে না।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাকি কাজ শেষ করতে মেয়াদ বাড়াতে হবে আরও দুই বছর। এ বছর টাইডাল রেগুলেটর (জোয়ার প্রতিরোধক) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ফলে এবারের বর্ষায়ও জোয়ারের পানিতে ডুববে চট্টগ্রাম নগরী।চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। এ বছরও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। শেষ হতে আরও দুই বছর লাগবে। এখনো প্রকল্পের অধীন কিছু ভূমি অধিগ্রহণের কাজ বাকি। তাই কাজ শেষ করতে সময় লাগবে।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ এলাকায় কয়েক বছর ধরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কি কারণ এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার এন্ড কর্মাসের সভাপতি মাহবুবুল আলম সকালের সময়কে বলেন, শত শত বছর ধরে চাক্তাই খালের মাধ্যমে নৌপথে বাণিজ্য পরিচালনায় খাতুনগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জ-চাকতাই এলাকার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ক্রমান্বয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টির ফলে এ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে খাল, নালা-নর্দমা ভরাটের ফলে বিভিন্ন গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় উদ্ভাবনে পরিকল্পনা কমিশনের এনআরপি প্রকল্প ও ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত এ সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ করে একনেকে পাস করার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন নেতা ছৈয়দ ছগীর আহমদ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সরকারকে আমরা রাজস্ব দিচ্ছি। খালের পারে বাকলিয়ায় আমার জন্ম। আগে ১৫-২০ দিন বৃষ্টি হলেও এভাবে পানি জমে থাকত না। তখন চারপাশে খোলা জায়গা ছিল। মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে। কিন্তু কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে? মেয়র, সিডিএ, বন্দর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব দপ্তরের প্রতিনিধিকে বলব, আগে খাল উদ্ধার করেন। কর্ণফুলী ড্রেজিং করেন। খালগুলোকে আগের পর্যায়ে আনা গেলে আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হব। অনেক ভবন খালের ওপর। অবৈধ দখল ঠেকাতে হবে। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন।
২১২১ ভাবশালীর দখলে ৩৭ খাল
চট্টগ্রাম নগরের ২ হাজার ১২১ জন ভাবশালীদের দখলে রয়েছে নগরের ৩৭টি খাল। অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করে ফেলা হয়েছে এসব খালের প্রায় সবগুলোই। বিভিন্ন সময় খালগুলো উদ্ধারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। আবার চসিক নিজেই দখলে রেখেছে কয়েকটি খাল।
সূত্র মতে, নগরীতে প্রধান খাল ১৬টি। এসব খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার। প্রধান ১৬ খাল থেকে বের হয়েছে আরো কিছু শাখা খাল। সব মিলিয়ে নগরীতে এখন খালের সংখ্যা ৩৭।
নগরীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাল হিসেবে দেখা হয় চাক্তাই খালকে। চাক্তাই খাল দখল করে আছেন ৪৮ অবৈধ দখলদার। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে খালটির ৮২ শতাংশই অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন তারা। সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও সদর সার্কেল ভূমি অফিস নগরীর সবগুলো খালের দখলদারদের খুঁজে বের করতে যৌথ সার্ভে পরিচালনা করে। এতে চাক্তাই খালে ৪৮ দখলদারের নাম আসে। একইভাবে শীতল ঝর্না খাল, মরিয়ম বিবি খাল, হিজড়া খাল, মনোহর, নাসির, চশমা, জামালখান. গুপ্ত ছড়া খাল, দেব পাহাড় ও গুলজার খালসহ নগরীর প্রধান ১৬ খালের ও শাখা খালের দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মোট দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে ২ হাজার ২২১ জনকে। এসব দখলদাররা রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা ধরনের প্রভাব বিস্তার করে খালের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন, কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কেউ আবার সেখানে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন। গড়ে উঠেছে বাজারও।
চসিক ভূমি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খালের সীমানা আরএস খতিয়ান অনুযায়ী নাকি বিএস খতিয়ান ভিত্তিক হবে তা নিয়েই মূলত জটিলতা। এ জঠিলতা নিরসন হলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। দখলদারদের কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। সবগুলো খাল ও খালের পাড় দখলমুক্ত রাখা হবে।
এদিকে একাধিক ব্যবসায়ী নেতারা জানান, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমাধানযোগ্য। নগরের গৃহস্থালির বর্জ্য, বাজারের বর্জ্য, কমিউনিটি সেন্টারের বর্জ্য খালগুলোতে পড়ছে। দীর্ঘদিন পর ঘরে ঘরে বিন দেওয়া হয়েছে কিছু এলাকায়। কিন্তু বিনের ব্যবহার হয় না। ফলে খালগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। নাব্যতা হারিয়েছে। একসময় চট্টগ্রাম শহরে ১৫ হাজার পুকুর, জলাশয় ছিল। এখন অনেক ভরাট হয়ে গেছে।
কর্ণফুলী বাংলাদেশের লাইফলাইন। কর্ণফুলীকে বন্দরের স্বার্থেই সচল রাখতে হবে। খালগুলো উদ্ধার করতে হবে। নদী গবেষকরা জানিয়েছে, চট্টগ্রামে চার ধরনের পানি যুক্ত হয়ে জলাবদ্ধতা হয়। নদীর জোয়ার, কাপ্তাই বাঁধের পানি, বৃষ্টি ও ব্যবহার্য পানির সমন্বয়ে জলাবদ্ধতা হয়। গত এক শ বছরে এখানে ভূমির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়নি। যার কারণে কোথায় কোন উচ্চতায় ভবন হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
ব্যবসায়ী নেতা নওশাদ আলম বলেন, স্বল্প মেয়াদে নিষ্কাশনের জন্য কার্যকারিতা হারিয়েছে এমন খাল-নালার বাঁক, ঢাল, প্রবেশপথ ও সংযোগস্থল সংশোধন করতে হবে। অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সেতু ও কালভার্ট উঁচু বা প্রশস্ত করতে হবে। সেবা সংস্থার পাইপলাইন, কেব্ল ইত্যাদি যা পানির গতিপথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তা অপসারণ করতে হবে। অপদখলমুক্ত করার পর সব খাল-নালার প্রশস্ততা সামঞ্জস্যপূর্ণ ও গতিপথের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। আরএস অনুযায়ী খালের জায়গা উদ্ধার করতে হবে। চট্টগ্রাম নগরের খালগুলোর মুখে যদি স্লুইসগেট দেওয়া হয় তাহলে ৫০-৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন তবে।
মিলছে না সুফল
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতে নেয়া প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার দুটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে ঢিমেতালে। এছাড়া চাক্তাই খাল খনন, তলা পাকাকরণ প্রকল্প থেকে শুরু করে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত নানা প্রকল্পে কত শত শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এর সুফল মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাকতাই খাল পর্যন্ত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণের অপর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চউক। এ প্রকল্পও চলছে ধীরগতিতে। ২০১৭ সালে শুরু প্রকল্পটির মেয়াদও চলতি বছরের জুনে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে খালে ১২টি রেগুলেটর ও ৯ দশমিক ৪০ মিটার সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণের কথা রয়েছে। এ প্রকল্পের অর্ধেক কাজও এখন পর্যন্ত হয়নি।
নগর পরিকল্পনাবিদরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম শহরের পানি নিষ্কাশন ও ধারণের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত নালা-নর্দমা নির্মাণ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া সিলট্র্যাপ (বালুর ফাঁদ) করতে হবে। খাল ও নালা-নর্দমায় বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। খালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন সেবা সংস্থার পাইপলাইন অপসারণ করা দরকার। মোটকথা, পানি যাতে দ্রুত প্রবাহিত হয়ে খালে পড়তে পারে, তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নগরের কালভার্ট প্রশস্ত করার একটি পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের রয়েছে। ওয়াসার পাইপলাইন বসানোর বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার। নগরের প্রধান খালগুলোর ধারণক্ষমতা যদি বাড়ানো যায়, তাহলে জলাবদ্ধতার ৪২ শতাংশ সমাধান হবে। তবে গবেষণা ও প্রকৌশলগতভাবে এসব কাজ করতে হবে। অমাবস্যা-পূর্ণিমার সময় নগরের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে রাস্তার পাশে নালা নির্মাণ। এসব নালা আচ্ছাদিত (কভার) করলে ভালো হয়।
এমএসএম / জামান

ফেসবুক ছিল বিনোদনের জায়গা, এখন আয়ের মূল উৎস

তোমাদের মৃত্যুর দায় আমরা এড়াতে পারি না

সুফি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পার করল সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন

ব্যতিক্রমী ধারার আলো নেভার পথে

টেকসই কৃষির জন্য চাই জৈব বালাইনাশক

ঈদযাত্রা হোক দুর্ঘটনামুক্ত

রমজানে ভ্রমণে যে বিষয় মেনে চলা জরুরি

সুস্থ থাকার জন্য কেমন পানির ফিল্টার নির্বাচন করবেন

সাপের ক্ষিদে মেটাতে পাখিশূন্য দ্বীপ

একদিনের ট্যুরেই ঘুরে আসুন চীনামাটির পাহাড়ে

আধ্যাত্মিকর যাত্রা পথে সুফি মেডিটেশন এর গুরুত্ব

খাজা ওসমান ফারুকীর কুরআন দর্শন
