ঢাকা শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ত্রিশালের চেচুয়া বিল : ফুটেছে লাল শাপলা, ভিড়ছে পর্যটক


ত্রিশাল প্রতিনিধি  photo ত্রিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩-১১-২০২১ রাত ৮:২৩

ফুটেছে লাল শাপলা, চারদিকে পাখির কলরব। বিলের এপাশ থেকে ওপাশ শুধু চোখ জুড়ানো লাল শাপলার সমারোহ। এ যেন রক্তিম নান্দনিকতার মনোলোভা রূপ। সকালে উদিত সূর্যের আভায় ফুটন্ত লাল শাপলা ও পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের দৃশ্য মুহূর্তে যে কারো মন কাড়ে। এমন সৌন্দর্য বিরাজ করছে ত্রিশালের চেচুয়া বিলে। প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তীর্ণ বিলটি। মাঝে মাঝে সাদা ও বেগুনী শাপলার দেখাও মেলে। এর সঙ্গে ভাসমান কচু ফুলের সাদা আভা এখানকার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

কোনো ধরনের চাষ ছাড়াই জন্মেছে লাল শাপলাগুলো। গোটা বিলের বুকজুড়ে এখন লাল শাপলার অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। শিশির ভেজা রোদ মাখা সকালের জলাশয়ে চোখ পড়লে রং-বেরংয়ের শাপলার বাহারি রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিলের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বিশাল বিল এটি। সারাদেশের মানুষ অবশ্য এ বিলকে প্রথমে চিনেছে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে। একদিন রাত পেরিয়ে সকাল হতেই কিছু লোক দেখতে পায় সেখানে থাকা জমাটবাঁধা কচু হঠাৎ সরে গিয়ে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়েছে। এটাকে অলৌকিক ভেবে কয়েকজন এখানে গোসল করে ও এর পানি খেয়ে রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে বলে জানান। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সারাদেশের হাজার হাজার মানুষ বন্ধুর পথ পেরিয়ে কাঁদামাখা পানিতে গোসল, গড়াগড়ি ও কাদাযুক্ত পানি সংগ্রহ করতে এখানে ভিড় করে। এমন গুজবও ছড়ানো হয়েছিল যে, হাজারো সমস্যার একমাত্র সমাধান এই চেচুয়া বিল। বিলের পানিতে এক ডুবেই সেরে যাবে যে কোনো রোগ। এখানকার মাটি ও পানি নাকি সর্বরোগের ওষুধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে ছড়ানো গুজবে হাজারো মানুষের তথাকথিত তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছিল ময়মনসিংহের এই চেচুয়া বিল। 

দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে আসা যায় চেচুয়া বিলে। যাতায়াতের সুবিধাও ভালো রয়েছে। বাস কিংবা নিজস্ব গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন এই বিলে। প্রথমে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বালিপাড়া রোডে অটোভ্যানে করে ঠাকুরবাড়ি মোড়ে এসে নামতে হবে। ভাড়া নেবে ১০ টাকা। এরপর চেচুয়া বিল পর্যন্ত ভ্যান দিয়েও যেতে পারবেন আবার হেঁটেও যেতে পারবেন।

চেচুয়া বিল ভ্রমণ করতে এসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে শিক্ষার্থী হুমায়রা আক্তার লাকি বলেন, প্রকৃতিতে নিজের রূপবৈচিত্র্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে জলাভূমি ও বিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রানী। শাপলা ফুলের উপস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে গ্রামের শিশুদের উচ্ছল মাখা শৈশব। জলের ওপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে হাসছে লাল একেকটি শাপলা। দেখলে মনে হয় লাল শাপলা যেন রঙের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে বিলজুড়ে। 

সৌন্দর্য রক্ষায় এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে এই বিলে ফুল তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুরতে আসা মানুষকে এলাকাবাসী সহযোগিতা করছেন। দর্শনার্থীদের নিয়মানুবর্তিতায় হয়তো এভাবেই বিলটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

এমএসএম / জামান

রাণীশংকৈলে শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে শহীদ আবু সাঈদের ছবি প্রতিস্থাপন

শিবগঞ্জে বকেয়া টাকা চাওয়ায় দোকানীকে কুপিয়ে জখম

দুমকিতে শিক্ষকদের বন্ধনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আ.লীগের মাস ব্যাপী কর্মসূচির প্রতিবাদে কোনাবাড়ি থানা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

এস আলম গ্রুপের শ্রমিক দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বাঁশখালীতে সাজা-পরোয়ানার পলাতক আসামী জ্যাকর গ্রেফতার

অপহৃত কাঠুরিদের মুক্তিপণ দাবি,আতঙ্কের হাজারো মানুষ

ছাত্রলীগের বিচার চেয়ে নাগরপুরে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর

ইসলাম ধর্ম কটুক্তি কারী সেই বিএনপি নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার