দৌলতপুরে ভয়ংকর জাকির চোর বাহিনীর দৌরাত্ম্য : দেখার কেউ নেই
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর, জয়রামপুর, চরদিয়া এলাকার সন্ত্রাসী জাকির চোর বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন ও অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চিহ্নিত চোর চক্রের হোতা জাকির চোরের নেতৃত্বে এলাকায় হত্যা, গুম, ডাকাতি, মাদক কেনা-বেচাসহ বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত হয়ে আসছে। জাকির চোর বাহীনির হামলার শিকার নিরীহ মানুষ নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বিকার হয়ে পড়েছেন। সাধারণ মানুষ চাপা ক্ষোভ ও ভয়, নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে দিন পার করছে।
জাকির চোরকে এলাকায় গরু চোর জাকির বলে সকলেই চেনে। জাকির চোরের সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকতা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে জানা যায়। এছাড়াও অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, দৌলতপুরের শাহাপুর গ্রামের আবর মোল্লার ছেলে জাকির চোর স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত বিএনপির সঙযোগী সংগঠন যুবদলের ক্যাডার দিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তার অন্যতম ক্যাডার রাজা, পিতা পচা সর্দার, গ্রাম শাহাপুর; মাসুদ, পিতা খলিল; কালু ওরফে সুমন, পিতা রমজান মণ্ডল, গ্রাম শাহাপুর; রিজু, পিতা পচা সর্দার, গ্রাম শাহাপুর; নাঈম, পিতা মিনা মণ্ডল, গ্রামসাদিপুর; জামাত চোর, পিতা মোজাহার, গ্রাম চামনাই; ফয়সাল, পিতা মহির, গ্রাম চামনাই; বজু বিশ্বাস, পিতা সফি বিশ্বাস, গ্রাম চরদিয়া; রাব্বি, পিতা জাকির; আকাশ, পিতা হাবি; রবিন, পিতা মান্নান; রুলু, পিতা রইচসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিদিন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে নিরীহ মানুষকে মারধর, ভাংচুর, চুরি, ছিনতাই ও অত্যাচার করলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
জাকির চোর বাহিনীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা, ছিনতাই, লুটপাটসহ মারধরের একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এই জাকির চোর এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন টার্গেট করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। জাকির চোরকে তলে তলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা এই অপকর্মে সহযোগিতা করায় থানায় অভিযোগ দিতে ভয় পাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
জাকির চোর কল্যানপুর, শাহাপুর, চামণাই, চরদিয়া, আল্লারদর্গা, জয়রামপুরসহ হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে দিনে ও রাতের বেলার জুয়া ও মাদকের হাট বসিয়ে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করছে। জাকির চোর বাহিনীর হামলার শিকার ব্যক্তিরা থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে উল্টো তাদের নামে মামলার ভয় দেখিয়ে মুচলেকায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয় দৌলতপুর থানা পুলিশ, এমন অভিযোগও রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জাকির চোর ও তার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলেই এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
এমএসএম / জামান