ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কলাপাড়ায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধানের শীষ


হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া photo হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া
প্রকাশিত: ২১-১১-২০২১ দুপুর ৪:২৬

অনেক ক্ষেতের ধানের শীষ ইতোমধ্যে সোনালি বর্ণ ধারণ করেছে। বাকিগুলো ধীরে ধীরে সোনালি হয়ে উঠছে। গন্ধে ভরে উঠেছে সমুদ্র উপকূলীয় কলাপাড়ার গ্রামীণ জনপদ। আর কদিন পরেই শুরু হবে ধান কাটা, মাড়াই ‍আর নতুন ধান ঘরে তোলার মহোৎসব। তাই প্রতিটি কৃষক পরিবারের সদস্যদের চোখ-মুখে লেগে আছে সোনালি স্বপ্নপূরনের ছাপ। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠজুড়ে কাঁচা-পাকা ধানের ফসলি ক্ষেত যেন দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে। কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হবে ধান তোলার পালা। তাই ধান কাটার জন্য নতুন কাস্তে তৈরি করতে দিয়েছেন অনেকে। কেউ আবার পুরাতন কাস্তে মেরামত করাচ্ছেন কামারবাড়িতে। কেউ কেউ নতুন ধান উঠানে রাখার জন্য বাড়ির আঙিনা সুন্দরভাবে পারিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। এ জনপদে কৃষকের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের আনাগোনা আর তৎপরতায় ফসলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়ায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৪৯২.১২২ বর্গ কিলোমিটার। ৩৫৫০০ জন কৃষক পরিবার রয়েছে। এ বছর ৩৩৭২৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এর মধ্যে ২৫০১০ হেক্টর জমিতে উফশি ও ৮৭১৮ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। করোনার কারণে ধান কাটার জন্য দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এখন আবহাওয়া ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকেলেই পুষিয়ে যাবে এমনটাই বলেছেন কৃষকরা।

চাম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মোহসিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর চাষাবাদে কিছুটা বিঘ্ন হয়েছে। তিনি প্রায় তিন হেক্টর জমি জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। এতে ৩০০ মণ ধান পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মো. হাবিব মুন্সি বলেন, সে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এখন ক্ষেতের ধান পাকা শুরু করেছে। ক্ষেতে খুব একট ভালো ফসল হয়েনি। তারপরও ২০০ মণ ধান পাবেন। তাবে ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে এই কৃষক।

অপর এক কৃষক শহজাহান মিয়া বলেন, সার-ওষুধ প্রয়োগ ও ক্ষেতের নিয়মিত পরিচর্যা করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। শ্রমিক পাওয়া গেলে দুই-চার দিনের মধ্যেই ক্ষেতের ধান কাটবেন বলে তিনি জানান।

কলাপাড়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এ উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ১০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে খুব অল্প সময়ে একই সাথে ধান কাটতে ও মাড়াই করতে পারবেন কৃষকরা। এছাড়া উচ্চফলনশীন জাতের ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রেখেছেন উপ-সহকারী কর্মকর্তারা। এর ফলে আমন ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত ফসল সুন্দরভাবে কাটতে পারবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এমএসএম / জামান

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন