অকাল বর্ষণে হাটহাজারীতে কৃষকদের মধ্যে হতাশা
হাটহাজারীতে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে প্রবল শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিন্মচাপে পরিণত হওয়ার কারণেই এই বর্ষণ বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি হালকা বর্ষণ হলে ও আজ সোমবার থেকে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। আমন ধান কাটা ও মৌসুমি তরিতরকারি আবাদের এই মৌসুমে অকাল বর্ষণের কারণে কৃষিজীবী পরিবারের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পূর্বে যেসব কৃষক আমন ধান কেটে উঠানে এনে মাড়াইয়ের জন্য গাদা মেরে রেখেছে, এসব ধানে গজ এসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেসব জমিতে পাকা ধান রয়েছে সেসব ধান জমিতে লেপ্টে গেছে। ধান জমিতে লেপ্টে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকার ফলে ও কৃষকের কষ্ট করে ফলানো ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমন ধান কেটে জমিতে এখন মৌসুমী তরিতরকারি ও শাক সব্জি রোপন করার সময়। অকাল বর্ষনের কারণে জমিতে এখন মৌসুমে তরিতরকারি রোপনে ব্যাঘাত সৃষ্টি সৃষ্টি হচ্ছে। গত দুই দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে গোসল করে কাপড় চোপর শুকানো যাচ্ছেনা। অকাল বর্ষনের কারণে ঠাণ্ডা জেঁকে বসতে শুরু করেছে। হাটবাজার ও রাস্তা ঘাটে লোক চলাচল কমে গেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বের হচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে কৃষক পরিবারের মধ্যে একপ্রকার হতাশা দেখা দিয়েছে।
ছিপাতলীর মো. লোকমান নামে এক কৃষক জানান, অকাল এই বৃষ্টির কারণে তার জমিতে কাটা ধান জমিতে রয়ে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে জমির ধান জমিতেই হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে।
মির্জাপুরের কৃষক স্বপন বড়ুয়া জানান, তিনি জমি থেকে আমন ধান কেটে উঠানে এনে গাদা দিয়ে রেখেছে। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে গাদায় রাখা ধানে গেজ এসে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একই এলাকার মেম্বার রুপেন কুমার শীল জানান, তিনি জমিতে মৌসুমী তরিতরকারি লাগানোর জন্য জমি তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। ফলে জমিতে সব্জি চাষাবাদ বিলম্ব হয়ে যাবে।
এদিকে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান মাহমুদ জানান, আমন ধান ইতোমধ্যে প্রায় ৭০-৮০ ভাগ কাটা হয়ে গেছে। আমনে এতবেশী ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে সবজি চাষ হয়তো একটু বিলম্বিত হতে পারে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে।
এমএসএম / জামান