মির্জাগঞ্জে ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা লোপাটের অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত খাতের লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় ক্ষুদ্র মেরামতের নামে ৬৫টি স্কুলের অনুকূলে বরাদ্দ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ছাড়া স্কুল উন্নয়নের অন্যান্য বরাদ্দকৃত টাকার অধিকাংশ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন এলজিইডি, শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। করোনাকালে স্কুল বন্ধের দীর্ঘ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন তারা।
সরেজমিন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো স্কুলে নামমাত্র কাজ করে বা সামান্য ঘঁষামাজা করে রংয়ের ছিটা দিয়ে অধিকাংশ টাকাই লুটপাট করা হয়েছে। এ লুটপাটে সম্পূর্ণভাবে সহায়তা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
যেসব স্কুল নামমাত্র কাজ দেখিয়ে লুটপাট করেছে সেগুলো হলো- উপজেলার মজিদদবাড়ীয়া আউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুদবরচর সরসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেনাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মকুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় সব বিদ্যালয়ের একই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বরাদ্দ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসে মোটা অংকের টাকা কেটে রাখে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে। শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা অফিসসহ অন্যান্য অফিসে টাকা দিলেও আমরা মুখ খুলতে পারছি না।
মজিদবাড়িয়া আউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল শীল বলেন, বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। মধ্য চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহআলম বিশ্বাস সাংবাদিকদের দেখে কোনো কথা না বলেই চলে যান।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) শেখ আজিমউর রশিদ বলেন, আমাদের অফিস কোনো টাকা-পয়সা নেই। প্রতিটি বিদ্যালয়ের কাজ যাচাই করে প্রত্যায়ন দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, কোনো বিদ্যালয় সঠিকভাবে কাজ না করলে তদন্ত করে দেখা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
এমএসএম / জামান