ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

‌খুলনায় সেনা সদস্য সাইফ হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড


এস এম জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা photo এস এম জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা
প্রকাশিত: ১৫-১২-২০২১ দুপুর ১২:৪৬

সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ‌কে হত্যার দায়ে ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই স‌ঙ্গে তা‌দের প্রত্যেক‌কে ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা দেয়া হ‌য়ে‌ছে। আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ‌মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি পলাতক ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টা, চারদিকে অন্ধকার। মোটরসাইকেলে তিনজনকে নিয়ে ঝিনাইদহের বংকিরার উদ্দেশ্যে আসছিলেন মো. হাফিজ উদ্দীনের দুই ছেলে। সঙ্গে ছিলেন হাফিজের বড় ছেলের শ্বশুর। বেলতলারদাড়ি নামক স্থানে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। আক্রমণে হাফিজের বড় ছেলে সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ মারা যান। পরে ঘটনাটি ঝিনাইদহ জেলার আলোচিত ঘটনা হিসেবে গণ্য হয়।

খুলানা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়। ১৫ ডিসেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন ছিল।

আদালত সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের বংকিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দীন পেশায় একজন কৃষক। তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম সাইফ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পদে টাঈাইল জেলার ঘাটাইল আর্মি মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টারে ও ছোট ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত। ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট দুজনই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন বড় ছেলে সাইফের শ্বশুর তাদের বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাতে হাফিজের দু‍ই ছেলে শ্বশুর সামসুল মোল্লাকে আনতে বদরগঞ্জ বাজারের দিকে যাত্রা করেন। ফিরে আসার পথে বেলতলারদাড়ি নামক স্থানে পৌ‍ঁছলে রাস্তার ওপর গাছ ফেলানো দেখতে পান। তখন তারা বুঝতে পারেন যে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গাছটি পথে ফেলে রাখা হয়েছে।

রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাস্তায় কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাতনামা ৬ জন দুষ্কৃতকারী তদের ঘিরে ফেলে। এ সময় হাফিজের বড় ছেলে সাইফ মোটরসাইকেল থেকে নেমে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে একজন তাকে দা দিয়ে কোপ দিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কোপটি তার হাতের তালুতে লাগে। পরে তারা দা দিয়ে সাইফের গলার বামপাশে ও ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে। ছোট ছেলে মনির গায়ের গেঞ্জি খুলে সাইফের গলায় বেঁধে দেন। তাতেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। পরবর্তীতে বাংকিরা বাজার মোড়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ঝিনাইদহ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে পুলিশ তদন্তে মাঠে নামে। তদন্তে পুলিশ এ ঘটনার সাথে ৮ জনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সকলে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে পুলিশের নিকট স্বীকার করে।

এ মামলার গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মো. আকিমুল ইসলাম মো. ফারুক হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান ওরফে ফইনে ও মোক্তার হোসেনসহ অন্যদের নাম উল্লেখ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে, যা মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইদহ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মহসীন হোসেন ২০১৯ সালের ৩০ জুন আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দখিল করেন।

এমএসএম / জামান

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত