ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নালিতাবাড়ীতে বিলিন হতে চলেছে নাকুগাঁও বধ্যভূমি


নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি photo নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২০-১২-২০২১ দুপুর ১:২৪

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও বধ্যভূমি। বধ্যভূমি’র অধিকাংশ জায়গার পাশে বয়ে চলা ভোগাই নদী গর্ভে বিলিন হতে চলেছে। এ অবস্থায় স্বাধীনতার স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারীভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 
উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারত সীমানার কাঁটাতারের বেড়াঘেঁষে ২০ শতাংশ জমিতে এই বধ্যভূমির বেশিরভাগ জায়গা এখন পাশ দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি খরস্রোতা ভোগাই নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। যে অংশটুকু রয়েছে তাতেও কখনো খড়ের গাদা, ঝোপঝাঁড় আবার কখনো গরু ছাগল বিচরণ করতে দেখা যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মে। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্বরোচিত হামলা চালায় উপজেলার নয়াবিল ইউপির নাকুগাঁও সীমান্তের স্থলবন্দর এলাকায়। পাকহানাদার বাহিনী অতর্কিতভাবে গণহত্যা চালিয়ে ঘণ্টা খানিকের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নাকুগাঁও বধ্যভূমিকে রক্ষার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে এসব বীর শহীদদের স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে নাকুগাঁও বধ্যভূমি।  
সেদিন পাক হায়েনাদের হামলায় নিহত হওয়া ৯ জন বিএসএফের হিসেব জানা গেলেও বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান আজও জানা যায়নি। নিহত বাঙালিদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল মোতালেব ও আশফাকুর রহমান। এ দু’জনের লাশ ভারতের বিএসএফ বাহিনী নাকুগাঁও সীমান্তের ভারত অংশের মসজিদ সংলগ্ন এক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি বাঙালিদের লাশ বাংলাদেশে সমাহিত ও ভারতীয়দের ভারতে দাহ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী রাজকুমার বলেন, আমি দেখেছি এখানে পাকহানাদার শত্রুরা অনেক মানুষ হত্যা করার পর এখানে তাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে এই বধ্যভূমির জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। 
নাকুগাঁও গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির ফকির বলেন, ‘সে দিনের ভয়াল স্মৃতির কথা আজও মনে পড়ে। এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু মুক্ত করার জন্য প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করছে, আমিও দৃঢ়চিত্তে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালের ২৫ মে হঠাৎ নাকুগাঁও এ পাকবাহিনীরা আক্রমণ করে অগণিত ভারতের মিত্রবাহিনী ও বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আমার মনের পরে নাইল্লা (পাট) জাগের মতো হেই দিন মানুষকে গণকবর দেওয়া অইছিল। কিন্তু এখানে আইজও কোনো প্রকার স্মৃতি সৌধ বা স্মৃতিফলক নির্মাণ করা অয় নাই।’ 
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে চিরঅম্লান করে রাখতে নাকুগাঁও বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা প্রয়োজন। 
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক নির্মাণের বিষয়টি সরাসরি জেলা প্রশাসক দেখভাল করে থাকেন। তাই জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।  

এমএসএম / এমএসএম

আ.লীগের প্রায় ৩০ হাজার সন্ত্রাসীকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ হাসনাত আবদুল্লাহর

বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ভূরুঙ্গামারীতে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ও বেসকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের হাইব্রিড বীজ বিতরণ

বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে এসেছেন অলি-আউলিয়ারা, রাজনৈতিক দল নয়—পীর সাহেব ছারছীনা

নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ: আইডিয়াল স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা

টঙ্গীতে রনি'র সমর্থনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৭ নেতার প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লায় বেগম রোগমুক্তি কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে কুরআন খতম ও দোয়া

নাচোলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘নাচোল সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব’-এর কার্যালয় উদ্বোধন

সুবর্ণচরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমির ওপর অবৈধ ইটভাটা অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি