সরিষা চাষে রায়গঞ্জে কৃষকের মুখে হাসি
হলুদের ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্তজোড়া মাঠ। কী অপরূপ সরিষার খেত! যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সরিষার ব্যাপক ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২,৬৫০ হেক্টর গত মৌসুমে, চলতি মৌসুমে ৪,০৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।আরও অনেক জমিতে কৃষকরা সরিষার চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তারা।সরেজমিনে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) চান্দাইকোনা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে সরিষার এমনি খেত দেখা যায়।
রুদ্রপুর গ্রামের সরিষা চাষি আলাউদ্দীন হোসেন জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তার ব্যয় হয়েছে ২,০০০টাকা করে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা আসবে। গত বছর প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করেছেন ২,৮০০-৩,২০০ শত- টাকায়।তিনি আরো জানান, এ বছর তিনি রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডি এ পি ও ১০ কেজি এম ও পি সার পেয়েছেন। সরকারের এই সহায়তায় এবছর তিনি সরিষা চাষে উদ্ভদ্দ হয়েছেন।বাজারদর ভালো পেলে এবারও তিনি সরিষা বিক্রি করে লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা। সরিষার ফুল আসে এক মাস পর। দেড় মাস পর ফুলে সরিষা ধরে। চাষের তিন মাস পর সরিষা পরিপক্ব হয়।
রায়গঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সরিষার জমি তে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। এঁটেল-দোঁআশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়।সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রায়গঞ্জে সরিষার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম