প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবিকা নির্বাহ করে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষ

জীবন ও জীবিকার তাগিদেই বসত বাঁধেন নদীপাড়ে। কখনো ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায় আবার কখনো আবাদি জমি খেয়ে ফেল ক্ষুধার্ত নদী। প্রকৃতির সঙ্গেই যুদ্ধ করে জীবিকা নির্বাহ করে ব্রহ্মপুত্র চরাঞ্চলের মানুষের জীবন এভাবেই চলে। চরের প্রত্যেক মানুষের বাস্তব চিত্র এটি। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ৭-৮ কিলোমিটার বালির পথ কাঁধে করে রোগীকে নিতে হয় হাসপাতালে।
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, গজারিয়া ও ফুলছড়ি ব্রহ্মপুত্র নদীর চর এলাকার বিশেষ করে চারটি ইউনিয়নের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জরুরি চিকিৎসা সেবায় এক রকম দুর্ভোগ কষ্ট পোহাতে হয় প্রতিদিন। ফুলছড়ি উপজেলার জনবসতিপূর্ণ এসব চর এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চর হচ্ছে- টেংরাকান্দি, গাবগাছি, পারুলেরচর, খাটিয়ামারি, উত্তর খোলবাড়ী, চরহরিচণ্ডী, গলমালচর, দেলুয়াবাড়ি, বাজে ফুলছড়ি, টেংরাকান্দি, জিয়াডাঙ্গা, হারোডাঙ্গা, কালুর পাড়াসহ নাম নাজানা প্রায় ৭০-৮০টি চর। এসব চরের মানুষ জরুরি চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন। চরগুলোতে মা ও শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে হরহামেশা।
এখন অবশ্য অনেক চরে মরিচ, আলু, বাদাম, গম, ভুট্টাসহ প্রায় সব রকমের ফসলের চাষ হয়। তারপরও এই চরের কৃষকরা বঞ্চিত কৃষি সেবা থেকেও। কিছু না পেলেও এই মানুষগুলোর না পাওয়ার কোনো অভিযোগ নেই।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হাসমত আলী বলেন, আমরা চরের মানুষ নিজেদের মতো করে ভালো আছি। আমরা ভালো থাকতে চাই। কারো কাছেই আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। এমনকি চরাঞ্চলের কাশ খড় বিক্রি করেও কারো কারো সংসার চলে।
উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বুলবুলির চরের হুরমুজ আলী জানান, নিজের জমিতে নদীর পলির সাথে কাশ হয় কিন্তু এগুলো চরের লোকজনের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তারা গরুর খাবার হিসেবে জোর করেই কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে মানুষের কাজ-কর্ম না থাকায় কাশ খড় বিক্রি করেই অনেকে দিনাতিপাত করছে।
হরিচণ্ডী গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, কার্তিকের আকালে একমাত্র ভরসা কাশের খড় বিক্রি। এছাড়া তারা অবসর সময়ে চরে পড়ে থাকা কাশের খড় কুড়িয়ে বিক্রি করে থাকেন। এতে যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চালান তারা। বেশি চর জেগেছে, এসব চরের মধ্যে সাড়ে তিন শতাধিক চরে মানুষ বসবাস করে।
শিক্ষার আলো, স্বাস্থ্যসেবা, সড়ক সেবাসহ প্রায় সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত বরাবরই এই মানুষগুলো। বালির মাঝেই চাষাবাদ এবং গরু-ছাগল পালন এদের প্রধান পেশা।
ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ জানান, চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ, দুর্দশা ও চিকিৎসার ভোগান্তি কমাতে গেলে দ্রুত নদীতে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। নদের নাব্য ফিরে এলে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে দুর্ভোগ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শাফিন / জামান

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন
