তানোরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার ‘নূর ধান’
কৃষি গবেষণায় কৃষক পর্যায়ে দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নূর মোহাম্মদ। নূর মোহাম্মদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া গ্রামে। বরেন্দ্র ভূমিতে প্রায় প্রতি বছরই খরায় নষ্ট হয়ে যেত ধান। সেই ধান রক্ষা করতেই কাজে লেগে যান নূর মোহাম্মদ।
নিজের মাটির ঘরটাকে বানিয়ে ফেলেছে গবেষণাগার। দেশি জাতের উন্নতি ঘটিয়ে ধানের জীবনকাল কমিয়ে এনেছেন। কোনোটির ফলন বাড়িয়েছেন। এতে ফসলে পানির প্রয়োজনীয়তা কম লাগে ও ফসল বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খরাপীড়িত বরেন্দ্র অঞ্চলে কিভাবে কম পানিতে কম সময়ে ধান কেটে ঘরে তোলা যায়, এ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে বহু জাতের ধানের জিন সংমিশ্রণ করে একটি আধুনিক উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়। তার উদ্ভাবন এবার দেশের সবচেয়ে চিকন ধান। গত ছয় বছরের গবেষণায় এই ধান উদ্ভাবন করেছে নূর মোহাম্মদ। নাম দেয়া হয়েছে ‘নূর ধান’। চিনিগুঁড়ার মতোই চিকন, তবে চিনিগুঁড়ার চেয়ে লম্বা। দেশের ঐতিহ্যবাহী দাদখানী, রাঁধুনীপাগল, কালজিরা, বাঁশফুল, কাটারিভোগের চেয়ে এ চাল অনেক চিকন।
নূর মোহাম্মদ সকালের সময়কে বলেন, দেশের কোন চিকন ধান বিঘাপতি ১০-১২ মনের বেশি ফলন হয় না। তার উদ্ভাবিত এই ধানের গড় ফলন হবে আমন মৌসুমে বিঘা প্রতি ১৭ মন ও বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ২১ মন। আমন ও বোরো দুই মৌসুমেই এই ধানের চাষ করা যাবে। তবে, বোরো মৌসুমে ফলন বেশী। সুগন্ধি না হলেও এ চালের ভাত খেতে ভালো লাগবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে নিত্য নতুন প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করে ও এলাকার কৃষকদের মাঝেও নিত্য নতুন প্রযুক্তি বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে ধানের নতুন নুতন সারি উদ্ভাবন করায় এলাকার কৃষকরা বিভিন্ন মৌসুমে নতুন নতুন দেশী বিদেশী জাতের ধানের অবস্থা তাদের নিজ এলাকায় দেখার সুযোগ পেয়েছে। তারা তাদের পছন্দের জাত সমূহ চিহ্নিত করে বীজও সংগ্রহ করতে পেরেছে। সে জন্য এলাকায় উফশী জাতের সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত হচ্ছে। খরা সহিষ্ণু সারিগুলোর জীবন কাল কম হওযায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরুর আগেই ধান কেটে ঘরে তোলা যাবে।
আগাম ওঠার কারণে সেচের খরচ কম হবে। ভালো বাজার মিলবে। সে কারণে সারিগুলো বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য উপযোগী। এবার আমন ২০২১ মৌসুমে তার গবেষণা মাঠে তার উদ্ভাবিত দুই জাতের ধান কাটা হয়েছে। একটি চিকন ‘নূর ধান’ অপরটি খরা সহিষ্ণু ধান। ধান কাটা মাড়াই ও ঝাড়াই শেষে শুকনা ওজনে চিকন ‘নূর ধান’ বিঘা প্রতি ১৭.৫ মণ ও খরা সহিষ্ণু ধান বিঘা প্রতি ২০ মণ ফলন পাওয়া যায়।
এ সময় উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন , সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডিএফএম ইমদাদুল ইসলাম ও এলাকার কৃষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
শাফিন / জামান
বগুড়া-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কালীগঞ্জে বিএনপিসহ তিন দলের মনোনয়নপত্র উত্তোলন
হাটহাজারীতে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
হাঁড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে ইরি বোরো ধান রোপনে মাঠে চৌগাছার কৃষক
হাদির মৃত্যুতে তানোরে জামায়াতের আয়োজনে গায়েবানা জানাজা
মেহেরপুরে বিএনপির আরো ২ নেতার মনোনয়নপত্র উত্তোলন
রাণীনগরে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
নবীনগরে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ১
সিংগাইরে শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল
৪৮ জেলায় যুব উন্নয়নের ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্পে বদলাচ্ছে কর্মসংস্থানের চিত্র
রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকায় চুরির হিড়িক
বেড়ায় ধর্মীয়-সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করল জামায়াতে ইসলামী