হাঁড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে ইরি বোরো ধান রোপনে মাঠে চৌগাছার কৃষক
গত দুই দিন ধরে চৌগাছার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডা। শীতে যবুথবু প্রাণীকুল, প্রয়োজনে ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না ঘর থেকে। কিন্তু কোন ঠান্ডাই যেন দমাতে পারেনি শ্রমজীবি মানুষ গুলোকে। তারা জীবন জীবিকার সন্ধানে বের হচ্ছেন ঘর থেকে অনেকে করছেন কাজ। প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষক শুরু করেছেন ইরি বোরো ধান রোপন। তবে শীতের কারনে জোন না পাওয়ায় বেশ বিপাকে পড়েছেন ধান চাষিরা। শীত কম হলেই পুরাদমে ধান রোপনের কাজ শুরু হবে এমনই মনে করছেন এ জনপদের ধান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে চৌগাছায় ১৮ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫শ হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষ হবে বলে মনে করছেন কৃষি অফিস। ফল ও অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ কিছুটা কমে যাওয়ায় কৃষক ধান চাষে ঝুকে পড়েছেন এমনটিই জানা গেছে।
গতকাল চৌগাছা পৌর এলাকার বাকপাড়া বিলে যেয়ে দেখা গেছে, প্রচন্ড শীত, নেই সূর্যের দেখা সেই সাথে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। এই বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কিছু কিছু কৃষক নেমে পড়েছেন মাঠে। তারা বেশ আগেই জমি প্রস্তুতের কাজ শেষ করেছেন, দেরি হলে ওই জমিতে আর ধান রোপন সম্ভব হবেনা, সে কারনে শীতকে শীত মনে না করে তারা ধান রোপনে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে কিছুটা আগে ভাগেই ধান রোপন করবো বলে জমি প্রস্তুত সম্পন্ন করি। কিন্তু হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সে কারনে ধান রোপনের কাজে নিয়োজিত জোন পাওয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কোন উপায় না পেয়ে নিজেই চলে এসেছি ধান রোপনের কাজে। গত আমন মৌসুমে এই বিলে কোন ধান হয়নি। জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারনে আমার মত অনেকইে ধান রোপন করতে পারেনি, তাই ইরি ধান কিছুটা আগে রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে বিলের এক তৃতীয়াংশ জমি প্রস্তুত হয়েছে, দ্রুতই সকলেই রোপন কাজ সেরে ফেলবে।
এ দিকে উপজেলার সিংহঝুলী, কয়ারপাড়া, ইছাপুর, বিশ্বাসপাড়া, চাঁনপুর, তারিনিবাস, কদমতলা, আন্দারকোটাসহ বেশ কিছু গ্রাম এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, মাঠের পর মাঠ এখন ইরি বোরো ধান রোপনে কৃষক জমি প্রস্তুতির কাজ সেরে নিচ্ছেন। কেউ জমিতে গোবর সার ফেলে তা সমস্ত জমিতে বিছিয়ে দিয়ে পানি ফেলেছেন, কেউ আবার চাষ শুরু করেছেন।
সিংহঝুলী গ্রামের সফল ধান চাষি শাহিনুর রহমান বলেন, প্রতি বছরই সে ১০ থেকে ১২ বিঘা জিমতে ইরি বোরো ধানের চাষ করেন এবছরও সমপরিমান জমিতে ধানের চাষ করবেন। ইতোমধ্যে জমি প্রস্তুত চলছে, শীত কম হলেই ধান রোপনের জন্য মাঠে নেমে পড়বেন। চাঁদপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে তিনি ৭ বিঘা জমিতে ধান রোপন করবেন বলে মনস্থির করেছেন। ধানের চারা প্রস্তুত জমিও প্রস্ততির কাজ চলছে। কোন দুর্যোগ না এলে আগামী সপ্তাহে ধান রোপনের জন্য মাঠে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারনিবাস গ্রামের কৃষক চঞ্চল কবির বলেন, দুই বিঘা জমিতে ধান রোপন করা হবে। চারা প্রস্তুত হয়েছে জমিতে পানি দিয়ে চলছে চাষের কাজ। শীতের কারনে কাজে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ইরি বোরো মৌসুম শুরু হলেই কৃষি উপকরনের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাই। বিশেষ করে সার ও কীটনাশকের দাম কৃষকের নাগালের বাইরে চলে যায়। কৃষকরা যাতে কম দামে সার কীটনাশক কিনে ধান চাষ করতে পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ঠদের নজর দিতে হবে। একই সাথে যারা পানি বিক্রি করেন তারাও কোমর বেধে মাঠে নামেন, যে কোন অজুহাতে পানির দাম বৃদ্ধি করতেই হবে। এ দিকে স্যালো বা মটরচালিত মেশিনের মালিকগন কিছুটা সদয় হলে ধান চাষে কৃষক লাভবান হবেন এমই প্রত্যাশা চাষিদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসাইন বলেন, চৌগাছা এলাকাতে রড মিনিকেটসহ ব্রি ধান ৫০, ৮৮, ৮৯, ৯২, ১০১ ও ১০২ জাতের ধানের চাষ বেশি হয়। ধান রোপনের জন্য চারা প্রস্তুত, কিছু কিছু এলাকায় রোপন কাজ শুরু হয়েছে। শীত কমলেই পুরোদমে ধান রোপন শুরু হবে। কৃষি অফিস হতে চাষিদের সর্বদা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে, আমরা আশা করছি এ বছরও লক্ষামাত্রা অতিক্রম করবে।
এমএসএম / এমএসএম
বগুড়া-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কালীগঞ্জে বিএনপিসহ তিন দলের মনোনয়নপত্র উত্তোলন
হাটহাজারীতে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
হাঁড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে ইরি বোরো ধান রোপনে মাঠে চৌগাছার কৃষক
হাদির মৃত্যুতে তানোরে জামায়াতের আয়োজনে গায়েবানা জানাজা
মেহেরপুরে বিএনপির আরো ২ নেতার মনোনয়নপত্র উত্তোলন
রাণীনগরে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
নবীনগরে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ১
সিংগাইরে শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল
৪৮ জেলায় যুব উন্নয়নের ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্পে বদলাচ্ছে কর্মসংস্থানের চিত্র
রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকায় চুরির হিড়িক
বেড়ায় ধর্মীয়-সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করল জামায়াতে ইসলামী