ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

রূপগঞ্জে ১৭ দিনেও শিশু ধর্ষণ মামলার আসামীকে গ্রেফতারে ব্যর্থ পুলিশ


রূপগঞ্জ প্রতিনিধি photo রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭-১-২০২২ দুপুর ৪:৩৬

 নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১৭ দিনেও ৮ বছর বয়সের এক শিশু ধর্ষণ মামলার আসামীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনার সন্দেহভাজনদের নিয়ে ভুরিভোজ করার অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই তদন্ত অফিসার দায়িত্ব অবহেলা করে ওই শিশুর পরিবারকেই দায়িত্ব দেন ধর্ষণকারীকে খুজে বের করার জন্য। এতে নির্যাতিত ওই শিশুর পরিবার ও জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের হাটাবো এলাকায় ঘটে এ ধর্ষণের ঘটনা। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে শিশুটির বাবা ও মাসহ পরিবারের সদস্যরা এখন পাগলের মতো হয়ে গেছে। ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।  তা না হলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসুচীসহ বৃহৎ আন্দোলন করবে বলেও হুশিয়ারী দেন পরিবারটি। 
ধর্ষিত শিশুর মামা জানান, তার বোনকে পার্শবতী ত্রিশকাহনিয়া এলাকায় বিয়ে দেন। ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার বোনসহ ভাগ্নি (শিশুটি) তাদের বাড়ি হাটাবোতে বেড়াতে আসে। ওই দিন সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনের সিটি মার্কেট এলাকার মনিরের দোকান থেকে শুকনা মরিচ কিনতে যায় শিশুটি। পরে পার্শবতী বিপুল ভান্ডারির দোকানের সামনে থেকে জনসম্মুখে এক লম্পট ওই শিশুকে ডেকে এনে নিজেকে শিশুটির বাবার বন্ধু পরিচয় দেয়। এরপর স্থানীয় রবিউল ভুইয়া ও যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান ভুইয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে শিশুর মুখ চেপে ধরে মতিউর রহমান ভুইয়ার ঘরের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশু আত্নচিৎকার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ এ ফোন করে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদকে ব্যবস্থা নিতে বললে তিনিও মামলা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে শিশু ও নারি নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিন্টু বৈদ্যাকে। পরে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। 
নির্যাতিত শিশুর পরিবারে অভিযোগ, তদন্ত অফিসার এসআই মিন্টু বৈদ্যা এ মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর যারা সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ না করে রহস্যজনক কারনে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়িতে ভুরিভোজ করেন তিনি। পুলিশ ফাঁড়িতে আড্ডা করেন। এছাড়া মিন্টু বৈদ্যা দায়িত্ব অবহেলা করে ওই শিশুর পরিবারকেই দায়িত্ব দেন ধর্ষণকারীকে খুজে বের করার জন্য এবং বের করে পুলিশকে জানানোর জন্য। 
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু বৈদ্যা বলেন, সন্দেভাজনদের সঙ্গে আড্ডা বা ভুরিভোজ এবং দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি মিথ্যা। তবে, আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আসামীকে চিহ্নিত করতে পারি নাই। নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে আসামীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সহযোগিতা চেয়েছি। 
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয়। তদন্তকারী অফিসার মিন্টু বৈদ্যা এ মামলাটি নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত