সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে তালা, দুপক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় থানা ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হন। ওই ঘটনায় সলঙ্গায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ওই দিনই সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ ও থানা পুলিশ ছাত্রলীগ কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
জানা যায়, সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কমিটি ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এক বছরের জন্য অনুমোদন দেয় সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়নি। এরপর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটি গঠন নিয়ে বির্তক শুরু হয়। এরমধ্যে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। একটিতে সভাপতি সৌরভ তালুকদার ও সম্পাদক সাবির এবং আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও আবু সুফিয়ান আকাশকে সম্পাদক করে দুটি কমিটি ঘোষণা হয়। এর ধারাবাহিকতায় থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তাওহীদুর রহমান বাচ্চু বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা জর্জকোটে একটি মামলা দায়ের করেন।
নলকা ইউনিয়নে রাতের আঁধারে পকেট কমিটি দেয়া হয় এমন অভিযোগ রয়েছে। সলঙ্গা থানার আওতায় ৬ ইউনিয়ের ভেতর বিতর্কিতভাবে ৩টি ইউনিয়নে কমিটি দিলেও গত ১ বছর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাকি ৩ ইউনিয়নে কমিটি দিতে পারেননি সলঙ্গা ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সলঙ্গা কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি বুলবুল হাসান লিটন বলেন, অযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই সলঙ্গা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিদ্রুত এ কমিটি ভেঙে দিয়ে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন কমিটির দাবি জানান তিনি।
নলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাওছার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তার বলেন, নলকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি আমাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই গঠন করা হয়। লোকমুখে শুনেছি টাকার বিনিময়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদুল কবির হান্নান বলেন, অযোগ্য নেতৃত্বর কারণে থানা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না পারায় ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২টি কমিটি গঠন করার কারণে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা কমিটির সভাপতি/সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু জানান, সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং পদ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ ঘটনা ঘটে।
সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সংঘর্ষের কথা শুনে সেখানে উপস্থিত হয়ে দুপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পরে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এবং কোনো পক্ষ যদি অভিযোগ করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাফিন / জামান