ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে অভিভাবকসহ মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা


আমেদ জীবন, সাভার photo আমেদ জীবন, সাভার
প্রকাশিত: ১০-১-২০২২ বিকাল ৫:৫২
সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। এ সময় একজন অভিভাবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন করে সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
 
অভিভাকরা বলেন, আমরা ওই স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছি। তারা পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু এবার আমাদের প্রায় ৭২ সন্তান সেখানে ভর্তি হতে পারছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আজ ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু আজও ভর্তি করছে না। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
 
অবস্থান নেয়া যমজ সন্তানের মা রুমি বলেন, আমার দুই সন্তান হাফসা হাসান অর্পি ও হুমায়রা হাসান অর্নি ওই স্কুলের প্রাইমারি শাখায় প্রায় ৭ বছর অতিবাহিত করেছে। কিন্তু আজ ওই স্কুল থেকে আমাদের সন্তানদের বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদের বের করে দিয়ে স্কুলের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।
 
শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের অভিভাবক মা মোমেনা খাতুন বলেন, আমাদের সন্তানকে এই স্কুলেই ভর্তি করানোর আশ্বাস দিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল। আমি সকাল ৯টা থেকে স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কোথাও সমাধান মিলছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই স্কুলে ভর্তির আশ্বাস দিলে আমি অন্য কোনো স্কুলে ভর্তির ফরমও তুলিনি। এখন তো কোনো স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আর সকাল ৯ টা থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়লাম।
 
শিক্ষার্থী তাসনিম আহমেদের মা তাহেরা খানম রত্না বলেন, নার্সারি থেকে দশম শ্রেশি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ ছিল। হঠাৎ করেই এই সিস্টেম পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে দীর্ঘ ৭ বছর এক স্কুলে পড়ার পর অন্য স্কুলে ভর্তি হতে চাপ সৃষ্টি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমরা আমাদের সন্তানদের এই স্কুলে ভর্তি করাতে চাই।
 
শিক্ষার্থী তাসমীন হাসান প্রমির মা নাসরিন হাসান বলেন, আমাদের দাবি একটাই, আমাদের সন্তান সাভার অধর চন্দ্র হাই স্কুলেই ভর্তি হতে হবে। আমাদের সন্তানদের বঞ্চিত না করে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
 
শিক্ষার্থী সেলিম বলে, রোকেয়া ম্যাডাম আমাদের বলেছিলেন, লটারি হলেও আমরা এখানেই ভর্তি হতে পারব। এখন ভর্তি হতে পারছি না। অন্য স্কুলে ভর্তি হতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগবে। এ টাকাও আমার পরিবার বহন করতে পারবে না। ভর্তি না করালে আশ্বাস দেয়া হলো কেন? এখানে ভর্তি না করানো হলে আমি আর ভর্তিই হব না।
 
এ ব্যাপারে অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মিসেস রোকেয়া হকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দন নামের এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। ছেলে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, মা অসুস্থ। তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। হসপিটালে ভর্তি আছেন।
 
অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, এটা আসলে সরকারি প্রক্রিয়া। লটারিতে যারা চান্স পেয়েছে তারা ভর্তি হয়েছে। যারা চান্স পায়নি তারা বিভিন্নভাবে ভর্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। তবে অভিভাবকদের দাবি লটারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে তাদের সন্তানরাই চান্স পেত।

শাফিন / জামান

আশুলিয়ার জামগড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

অবৈধভাবে কানাডা থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা বালু পাপ্পির নিরব চাঁদাবাজি

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদে ছয়জনের প্রাণহানি

মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রেসক্লাবের সভাপতি সহ তিনজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

বারহাট্টায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নোয়াখালী সুবর্ণচরে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে উত্তাল যমুনা সেতু মহাসড়ক

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাটে আলোচনা সভা

মাগুরায় আসন্ন কাবাডি ও ক্রিকেট লীগ উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে ঘরে ঘরে জনে জনে কর্মসূচি নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

বিরামপুরে দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নাচোলে তে-ভাগা আন্দোলনের বীরাঙ্গনা নেত্রী ইলামিত্রের ২৩ তম মৃত্যু বাষিকী পালিত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন