ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া মনোহরদী উপজেলা নির্বাচন অফিস


নরসিংদী প্রতিনিধি photo নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮-১-২০২২ দুপুর ১২:৩৩

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় চরম হয়রানি ও অনিয়মের পাশাপাশি ঘুষ লেনদেনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত কাজে গেলেই হতে হয় ভোগান্তির শিকার। এতে দূর-দূরান্তের লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, হারানো বা স্থানান্তরের আবেদন মানেই টাকা। চাহিদামতো টাকা না দিলে হয়রানি হতে হয়।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তিতে এ উপজেলার হাজারও সেবাপ্রত্যাশী। ভূক্তভোগীরা বিষয়টিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এছাড়া সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা পছন্দের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থিতা বাতিলের ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন তিনি।

নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ নির্ধারিত মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ধাপে প্রার্থীদের কাছে থেকে ঘুষ গ্রহণ করছেন। মনোনয়ন ফরম বৈধ সত্ত্বেও অধিকাংশ প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তার চাহিদামতো টাকা আদায় করছেন। প্রার্থীর ভোটারদের কাছে সম্মানহানির হাত থেকে বাঁচতে নির্বাচন কর্মকর্তার চাহিদামতো টাকা প্রদান করতে বাধ্য ছিলেন। এছাড়া ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের পছন্দমতো কেন্দ্রে নিয়োগের কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগও রয়েছে। 

সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া রোকেয়া বেগম বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নির্বাচন অফিস থেকে ফোন দিয়ে জরুরি যেতে বলা হয়। সেখানে যাওয়ার পর নির্বাচন কর্মকর্তা জানান আমার ফরমে ভুল আছে। পরে তার কথামতো চার হাজার টাকা দিয়েছি। পরদিন আবারো টাকার জন্য ফোন দেয়া হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রত্যকেকেই ডেকে নিয়ে এভাবে ভয় দেখিয়ে তিনি টাকা নিয়েছেন।

এদিকে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দাইরাদী গ্রামের আরমান মিয়া বলেন, আমি নতুন ভোটার হতে গিয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এই ঘুষ নেন উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী সোহরাব হোসেন। অভিযোগ উঠেছে, সোহরাব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের খুব প্রিয় পাত্র।

তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন না ধরায় মন্তব্য জানা যায়নি।

শাফিন / জামান

চাঁদপুরে মাদক কারবারি ইউপি সদস্যের স্ত্রীসহ আটক ২

ঝিনাইদহে মহিলা রোগীর গালে থাপ্পড় মারলেন ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস; অন্তরালে যা ঘটেছিল

বড়লেখায় দুই সিএনজি-অটোরিক্সা চুর আটক, গণপিটুনিতে নিহত-১

সাতক্ষীরায় কথিত সাংবাদিকের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সকলে

সাভারে ইউএনওর এক বছর পূর্তিতে উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির "ফল-২০২৫" ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

নাচোলে রাতের আঁধারে আমের ডাল কর্তন ও চুরি ক্ষতি প্রায় ৮০ হাজার টাকা

রায়গঞ্জে এক অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালো শিক্ষার্থী শেখ রিয়াদ

বাউবিতে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান

নড়াইলে ইব্রাহিম মোল্যাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার নাটকের অবসান : ভিকটিম উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

শালিখায় অবৈধ মৎস্য সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

পঞ্চগড়ে রুটিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা, ৮ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

কুমিল্লায় বাসা থেকে কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক ১